কলকাতা, 1 ফেব্রুয়ারি: আবারও এক গুরুত্বপূর্ণ পদে অফিসার 'শূন্য' রাজভবন তথা রাজ্যপাল। সেই খবর আগেই (28 জানুয়ারি) প্রকাশ করেছিল ইটিভি ভারত। গতকাল 31 জানুয়ারি সিভি আনন্দ বোসের বিশেষ সচিব আইএএস দেবাশিস ঘোষের চাকরির মেয়াদ শেষ হয়েছে। কিন্তু, তাঁর জায়গায় পরবর্তী বিশেষ সচিব কে হবেন বা নবান্ন থেকে কাকে পাঠানো হবে- সেই বিষয়ে কোনও সদূর নেই রাজভবনের অন্দরে। যদিও দেবাশিস ঘোষের কাজের দায়িত্ব ডেপুটি সেক্রেটারি সৈকত দাসের কাঁধে চেপেছে বলেই খবর।
গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে রাজভবনের কর্মীরা দেবাশিষ ঘোষের আনুষ্ঠানিক বিদায় সভার আয়োজন করেন। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস 31 তারিখ রাজভবনে থাকতে পারবেন না বলে, 30 জানুয়ারি বিশেষ সচিবের বিদায়ে শুভেচ্ছা জানান। সূত্রের দাবি, রাজ্যপাল চেয়েছিলেন দেবাশিস ঘোষ অবসরের পরও চুক্তির ভিত্তিতে কাজ করুন রাজভবনে। কিন্তু, 'টেকনিক্যালি' তা সম্ভব হয়নি। ফলে, রাজ্যপালের বিশেষ সচিব পদ আপাতত শূন্যই রইল।
আইএএস নন্দিনী চক্রবর্তীকে প্রিন্সিপাল সচিব থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর থেকে সেই পদও শূন্যই রয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে সেখানে কাউকেই নিয়োগ করা হয়নি। স্বভাবতই অধঃস্তন অফিসারদের কাজের চাপ বেড়েছে। তবে অফিসার বা নিজস্ব আধিকারিকদের রাজভবন থেকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনা নতুন নয়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন ঘিরে বিতর্ক হওয়ার পরই রাজ্যপাল তাঁর এক ওএসডি-কে সরিয়ে দেন। ওই আধিকারিক বর্তমান নবান্নে তাঁর আগের বিভাগে কাজে ফিরে গিয়েছেন ।
কিন্তু, তাঁর পরিবর্তে রাজভবনে কোনও অধিকারিক আসেননি। ফলে, তিনি যে কাজগুলো করতেন আপাতত সেগুলো কে করবেন তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। সূত্রের দাবি, জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে ওই অফিসারকে 'অনস্পট' রাজভবন থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগে রাজ্যপাল তার প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি নন্দিনী চক্রবর্তীকেও হঠাৎ করেই রিলিজ করে দিয়েছিলেন। তারপর মিডিয়া সচিবও নবান্নের পূর্বের বিভাগে চলে যান। অফিসার রিলিজ বা মেয়াদ শেষ হলেও সেই পদে নতুন করে কাউকে নবান্ন থেকে পাঠানো হয়নি। ফলে, ওই সমস্ত অধিকারের কাজের চাপ অন্য কাউকে নিতে হচ্ছে। ফলে, রাজভবনের কর্মী মহলে কাজের চাপ ক্রমশই বেড়ে চলেছে।
আরও পড়ুন:
- চলতি মাসেই শেষ হচ্ছে দেবাশিস ঘোষের মেয়াদ, রাজ্যপালের বিশেষ সচিব পদে পরবর্তীতে কে !
- পূর্ব নির্ধারিত সময়ের আগেই দিল্লি গেলেন রাজ্যপাল, রাজ্যের বকেয়া নিয়ে কথা বলবেন কি?
- 'সাধারণ মানুষের চিন্তা স্বাভাবিক', সিএএ-উদ্বেগ নিয়ে কী মত রাজ্যপালের ?