আসানসোল, 30 জুলাই: শ্রাবণী মেলা উপলক্ষে দেওঘরে বাবাধামের উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য উপচে পড়ছে ভিড় । আসানসোল রেল ডিভিশনের জসিডি স্টেশন থেকে দেওঘরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় 'কাঁবারিয়া' বা ভক্তকূল। জসিডি স্টেশনে এখন সাজো সাজো রব। পাশাপাশি টিকিট কাউন্টারের ভিড় কমাতে আসানসোল রেল ডিভিশনের প্রতিটি স্টেশনেই মোবাইল টিকিটের ব্যবস্থা করেছে রেল । ট্রেনে ওঠার আগে টিটিই'র কাছে মিলছে এই টিকিট ।
শ্রাবণী মেলা হল ঝাড়খণ্ডের দেওঘরের বৈদ্যনাথ ধামের একটি উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান । এখানে সারা দেশ থেকে লক্ষাধিক ভক্ত বৈদ্যনাথ ধামের জ্যোতির্লিঙ্গে জল ঢালতে আসেন । একদিকে সুলতানগঞ্জ থেকে 100 কিলোমিটারের উপর পায়ে হেঁটে মানুষজন আসেন পূণ্য় অর্জন করতে। বৈদ্যনাথ মন্দিরে অর্পণ করার জন্য গঙ্গা থেকে জল নিয়ে পবিত্র যাত্রা শুরু করেন তাঁরা । অন্যদিকে, রেলপথে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ বৈদ্যনাথ ধামে যান।
সুলতানগঞ্জ কিংবা সরাসরি বৈদ্যনাথ ধাম যাওয়ার জন্য প্রতিদিন রেলে ভিড় বাড়ছে । পূর্ব রেলওয়ের আসানসোল রেল ডিভিশন ধর্মপ্রাণ এই মানুষদের সুবিধার্থে আসানসোল রেল ডিভিশনের বিভিন্ন স্টেশনে মোবাইল টিকিটের সুবিধা এনেছে । বিশেষ করে, দেওঘর স্টেশনে মোবাইল টিকিটিং পরিষেবা চালু করায় দূরদূরান্ত থেকে আসা ধর্মপ্রাণ মানুষজনের সুবিধা হয়েছে । এই প্রক্রিয়া চালুর ফলে টিকিট কাটা সহজ হয়েছে । পাশাপাশি বিনা টিকিটের যাত্রীও কমানো গিয়েছে ।
কাউন্টারে ভিড় দেখে অনেকেই টিকিট না-কেটে ট্রেনে চড়ে যেতেন । সেই অভ্যেসের বদল ঘটেছে এই ব্যবস্থায় । অন্যদিকে, এই শ্রাবণী মেলা উপলক্ষে দেওঘর স্টেশন তো বটেই, আসানসোল রেল ডিভিশনের বিভিন্ন স্টেশনে পরিচ্ছন্নতার উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে । দেওঘর ও জসিডি স্টেশনকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে । নিয়মিত পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে, অতিরিক্ত ডাস্টবিন দেওয়া হয়েছে এবং এবং স্যানিটেশনের সুবিধাগুলি বাড়ানো হয়েছে ।
এছাড়াও, দেওঘর স্টেশনে প্রচুর স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ, বর্ধিত ট্রেন পরিষেবা, অতিরিক্ত সাহায্য ডেস্ক, উন্নত স্টেশন সুবিধা, সার্বক্ষণিক চিকিৎসা সহায়তা ও স্টেশনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ ব্যবস্থাও করা হয়েছে ।