কলকাতা, 20 মে: সরানো হল পশ্চিম মেদিনীপুরের এসপি ধৃতিমান সরকারকে। জেলায় নির্বাচনের ঠিক আগেই সরিয়ে দেওয়া হল পুলিশ সুপারকে। সোমবার সন্ধ্যায় এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী 25মে রয়েছে ষষ্ঠ দফার নির্বাচন। আর তার আগেই সরিয়ে দেওয়া হল এসপি ধৃতিমান সরকারকে। পঞ্চম দফার নির্বাচন মিটতে না মিটতেই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত সামনে এসেছে। অন্যদিকে, ভোটে নানা ধরনের গোলমাল পাকানোর ঘটনায় 90 জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুসারে পশ্চিম মেদিনীপুরের আইপিএস পদমর্যাদার এসপি ধৃতিমান সরকারকে সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আরও বলা হয়েছে, তিনি লোকসভা নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে মঙ্গলবার ধৃতিমানের জায়গা কাকে বসানো হবে তা নিয়ে আলোচনা হবে। তার আগে রাজ্য প্রশাসনকে তিনজনের নাম পাঠাতে হবে। এই তিনজনের থেকে একজনকে বেছে নেবে কমিশন। এবার নির্বাচন প্রক্রিয়ার শুরু থেকেই প্রশাসনের আধিকারিক থেকে শুরু করে পুলিশ কর্তাদের সরিয়ে দিয়েছে কমিশন। অপসারিত হয়েছেন বিভিন্ন থানার আইসি থেকে শুরু করে ওসিরাও। মার্চ মাসে নির্বাচনী আচরণ বিধি লাগু হওয়ার পর প্রথমদিকেই সরিয়ে দেওয়া হয় রাজ্য পুলিশের তৎকালীন ডিজি রাজীব কুমারকে। তৃণমূল অবশ্য এর নেপথ্যে বরাবরই রাজনীতির ছায়া।
এদিকে কমিশনের মতে, পঞ্চম দফার ভোটেও কোনও বড় গোলমাল হয়নি। ব্যারাকপুর নিয়ে আশঙ্কা থাকলেও নির্বিঘ্নেই শেষ হয়েছে নির্বাচন। এমনটাই জানিয়েছেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক ডক্টর আরিজ আফতাব। তবে সতর্কতা মূলক পদক্ষেপ হিসেবে গ্রেফতার কড়া হয়েছে 90 জনকে। এদের মধ্যে হাওড়ায় গ্রেফতার হন 35 জন। ব্যারাকপুরের 1 জন। হুগলি এবং বনগাঁয় গ্রেফতার 47 জন।
এদিকে, কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে হাওড়া বালির 187 নম্বর বুথে একজন ভুয়ো ভোটারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদিকে একজন পোলিং এজেন্টকে ঘুসরি থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ব্যারাকপুর মন্দলপাড়ায় কৌস্তব বাগচী গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাতেও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: