কালিম্পং, 30 নভেম্বর: নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তিস্তা নদীর খাদে গিয়ে পড়ল যাত্রীবাহী বাস ৷ ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় অন্তত ছ’জনের মৃত্যু খবর পাওয়া গিয়েছে ৷ বাসে সওয়ার আরও 15 জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন ৷ মৃতদের মধ্যে একজন কলকাতার বেলগাছিয়ার বাসিন্দা রয়েছেন ৷ তাঁর পরিচয় ইকবাল হাসান ৷ বাকি মৃতদের মধ্যে একজনের পরিচয় জানা যায়নি ৷
শনিবার দুপুর নাগাদ শিলিগুড়ি থেকে গ্যাংটকের উদ্দেশে রওনা দেয় বেসরকারি এই বাসটি ৷ জানা গিয়েছে, কালিম্পং ও সিকিম সীমানায় রংপোর কাছে ভোটেভিরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তিস্তায় পড়ে যায় বাসটি ৷ তবে, জলস্তর কম থাকায় তিস্তার পাড়ের বাসটি আছাড় খায় ৷ ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী দল পৌঁছে কাজ শুরু করেছে ৷
এ বিষয়ে কালিম্পং জেলা পুলিশ সুপার শ্রীহরি পান্ডে বলেন, "আমাদের প্রথম কাজ ছিল যাত্রীদের উদ্ধার করা ৷ সেটা আমরা করেছি ৷ তবে, এখনও পর্যন্ত ছ’জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ 15 জনের উপরে যাঁরা আহত, তাঁদের সিকিমের একাধিক হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে ৷ গোটা ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ ৷"
বাস দুর্ঘটনায় মৃতদের ছ’জনের মধ্যে পাঁচজনের পরিচয় জানা গিয়েছে ৷ তাঁদের মধ্যে একজন মহিলা রয়েছেন ৷ তাঁরা হলেন, কলকাতার বেলগাছিয়ার বাসিন্দা ইকবাল হাসান ৷ গোপাল জে প্রসাদ, গ্যাংটকের দেওরালির বাসিন্দা ৷ অজয় তামাং, বাড়ি সামসিং ৷ বর্তমানে গরুবাথানের বাসিন্দা ৷ সিকিমের রংপোর বাসিন্দা ঝুলু কুমারী এবং শিলিগুড়ির বাসিন্দা ইন্দ্রজিৎ সিং ৷ আহত 15 জনের মধ্যে চারজন মহিলা ৷
ও আহতদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি ৷ কীভাবে চালক বাসের নিয়ন্ত্রণ হারালেন ? দুর্ঘটনার সময় বাসের গতি কত ছিল ? কিংবা, কোনও যান্ত্রিক গোলোযোগের কারণে চালক বাসের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷
উল্লেখ্য, গ্যাংটকগামী ওই বেসরকারী যাত্রীবাহী বাসে পর্যটকদের থাকার সম্ভাবনা রয়েছে ৷ তবে, সেই বিষয়ে এখনই কালিম্পং জেলাশাসকের দফতর থেকে নিশ্চিতভাবে কিছু জানানো হয়নি ৷
এদিকে, শনিবারই সিকিম পর্যটন দফতরের তরফে জানানো হয়েছিল, 1 ডিসেম্বর থেকে উত্তর সিকিম পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে ৷ এমনকি লাচুং বেড়াতে যাওয়ার জন্য গাড়ির পারমিটও অনলাইনে দেওয়া শুরু করছে পরিবহণ দফতর ৷ শীতের শুরুতে পর্যটকদের জন্য এই খুশির খবরের মাঝেই, শনিবার বিকেলে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ৷