কলকাতা, 24 এপ্রিল: কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে এল শাহজাহানের চিংড়ির ব্যবসার নথি ৷ সন্দেশখালিতে চিংড়ি মাছের ভেড়ি তৈরি করে সেখান থেকে এক বছরে প্রায় 200 কোটি টাকা মুনাফা অর্জন করেছিল শাহজাহান ও তার কোম্পানি ৷ সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তের শুরুতেই সামনে আসে 'বেতাজ বাদশা' শাহজাহানের একাধিক ব্যবসা ৷ যার মধ্যে অন্যতম ছিল ভেড়িতে চিংড়ি চাষ ৷
তদন্ত যতই সামনে আসে ততই আরও তথ্য হাতে আসে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের ৷ আরও একটি সংস্থার নামও জানতে পারেন তাঁরা ৷ যার নাম এসকে সাবিনা ৷ সেখান থেকে 11 মাসে 132 কোটি টাকার মুনাফা লাভের তথ্য সামনে এসেছে ৷ অভিযোগ এই সমস্ত ব্যবসার আড়ালে কালো টাাকা সাদা করার কাজ চলত ৷ শেখ শাহজাহানের বিভিন্ন কোম্পানির হিসাব এবং বিভিন্ন বিষয় তদন্তে নেমে পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা এই তথ্য জানতে পেরেছেন।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দাদের মতে, এক মাসে 200 কোটি টাকা কীভাবে মুনাফা হল তা বিশদভাবে খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে । ইতিমধ্যেই শেখ শাহজাহানের ভাই সিরাজের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করেছে ইডি। ইডির আশঙ্কা, যে এই তদন্ত থেকে বাঁচতে বিদেশে পালানোর চেষ্টা করে থাকতে পারেন সিরাজউদ্দিন। তার জন্যই এই পদক্ষেপ। ইডি সূত্রের খবর, তিনি যাতে দেশ ছাড়তে না পারেন, সে কারণে দেশের সব বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে ইতিমধ্যেই সতর্ক করা হয়েছে ইডি-র তরফে।
এছাড়াও তদন্তকারীদের দাবি, 2018 থেকে 2022 সাল পর্যন্ত শেখ শাহজাহান এবং তার দলবলের লোকের বিরুদ্ধে একাধিক মহিলা অভিযোগ করছেন ৷ অভিযোগকারীদের সকলেই সন্দেশখালি ও ন্যাজাট থানা বাসিন্দা ৷ যাঁদের অভিযোগ ছিল, জোর করে তাঁদের খেতের চাষযোগ্য জমি নিয়ে নিয়েছিল শাহজাহান ও তার অনুগামীরা।
আরও পড়ুন: