জলপাইগুড়ি, 25 অগস্ট: আরজি করের নির্যাতিতার মৃতদেহ কার কথায় তাড়াতাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে ? এবার এই প্রশ্ন তুললেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর ৷ জলপাইগুড়িতে মতুয়া মহাসংঘের একটি সম্মেলনে এসে আরজি কর কাণ্ড নিয়ে এই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ৷ তিনি বলেন, সিবিআই সঠিক তদন্ত করছে । কাজ করতে সময় লাগতেই পারে । সিবিআইয়ের উচিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে জেরা করা ৷’’
একই সঙ্গে এদিন বাংলাদেশ নিয়েও মুখ খুলেছেন তিনি ৷ শান্তনু বলেন, ‘‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আমরা হস্তক্ষেপ করতে পারি না । বাংলাদেশে যারা অত্যাচারিত হচ্ছে, সে দায় বাংলাদেশের ৷ আমাদের নয় । তাঁদের সমবেদনা জানাই । আমাদের গৃহ মন্ত্রালয় থেকে বলা হয়েছে, অত্যাচারিত সংখ্যালঘুরা যদি ভারতে আসেন তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া নিয়ে আলোচনা করা হবে ৷’’
উত্তরবঙ্গ বঞ্চিত ৷ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন মানুষের দাবির সঙ্গেও একমত শান্তনু ঠাকুর । তিনি বলেন, ‘‘এই রাজ্য সরকার সরাতে হবে ৷ না-হলে উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন সম্ভব নয় । কারণ রর্তমান রাজ্য সরকার কলকাতা-কেন্দ্রিক উন্নয়ন করছে ৷ যার ফলে উত্তরবঙ্গ পিছিয়ে আছে । এই এলাকার বাসিন্দাদের কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত হস্তক্ষেপ করা । চিন উত্তরবঙ্গের চিকেন নেক’কে কেন্দ্র করে যেভাবে হুমকি দিচ্ছে, তাকে মোকাবিলা করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত প্রশাসনিক রুল জারি করা ।
আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে আজ সম্মেলন শেষে সমস্ত মতুয়া সমাজের মানুষেরা একটি প্রতিবাদ মিছিল করে । আজ এই মিছিলে অংশগ্রহণ করেছিলেন জলপাইগুড়ি সাংসদ ডাক্তার জয়ন্ত রায় । তিনি বলেন, ‘‘আরজি করের ঘটনা নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও সরকার যেভাবে নির্যাতিতার পক্ষ না-নিয়ে অত্যাচারীদের পক্ষ নিয়ে কাজ করছে, তাতে রাজ্যের মানুষ আতঙ্কিত ৷ আগামী 26 তারিখ যদি মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ না-করেন তাহলে 27 তারিখ রাজ্যের ছাত্রসমাজ এই মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর সরকারকে সরিয়ে দেওয়ার রাস্তা দেখিয়ে দেবে ।’’
আজ আর্ট গ্যালারিতে অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের ভক্তদের একটি সম্মেলন হয় । সেই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন মতুয়া মহাসংঘের সঙ্ঘাতিপতি শান্তনু ঠাকুর ও বিশেষ অতিথি হিসাবে ছিলেন সোমা ঠাকুর । এছাড়াও জলপাইগুড়ির সাংসদ ডাক্তার জয়ন্ত রায় ও মতুয়া মহাসংঘের অন্যান্য পদাধিকারীরাও উপস্থিত ছিলেন । সম্মেলন শেষে প্রায় 500 ভক্ত নিয়ে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নামেন তারা ৷