কলকাতা, 25 জুলাই: অবস্থানে বসলেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএফআই সংগঠনের ছাত্রছাত্রীরা অবস্থানে বসলেন। অস্বাভাবিক ফি বৃদ্ধির বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে পোর্টিকোতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ অবস্থানে বসেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে একটি বৈঠকে বসতে হবে। সেই বৈঠকেই এই ফি বৃদ্ধি নিয়ে কথা হবে ৷ শুধু মৌখিক নয়, লিখিতভাবে তাঁদেরকে এই বৈঠকের কথা জানাতে হবে বলেই দাবি জানিয়েছে প্রেসিডেন্সির এসএফআই সংগঠন ৷
প্রায় 14 বছর পর প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফি বৃদ্ধি হতে চলেছে। কিন্তু এই ফি বৃদ্ধি করা হচ্ছে অস্বাভাবিকভাবে, বলে দাবি জানিয়েছেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। গত বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা একটি বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই বৈঠকে ডিন অফ স্টুডেন্ট ছাড়া অন্য কেউ ছিল না। কেন অন্য কোনও কর্তৃপক্ষ ওই বৈঠকে থাকল না, সেই প্রশ্ন তুলেছে এসএফআই সংগঠন। এর পাশাপাশি ওই দিন তারা ফি বৃদ্ধি না-করে, তার বিকল্প হিসাবে একাধিক প্রস্তাব দিয়েছিল। এরপরে বৃহস্পতিবার আরও একটি বৈঠক হয়। কিন্তু সেখানে ছাত্র-ছাত্রীদের কোনও দাবি মেনে নেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ।
প্রেসিডেন্সির এসএফআই-এর ইউনিট সেক্রেটারি বিতান ইসলাম বলেন, "আমরা গতবারের বৈঠকে বেশকিছু বিকল্প ব্যবস্থা দিয়েছিলাম। কিন্তু আজ কর্তৃপক্ষ যেভাবে কথা বলল, তাতে বোঝা গেল তারা আগে থেকেই নিজেদের জায়গায় অটুট। তারা আমাদের দেওয়া কোনও প্রস্তাব খতিয়ে দেখেনি ৷ তাই এবার আমরা দাবি তুলেছি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদেরকে একটি বৈঠক করতে হবে ৷ যেখানে আমরা আমাদের কথাগুলো তাদেরকে জানাব। যতদিন না সেই বৈঠকের দিন ঠিক হচ্ছে এবং লিখিতভাবে আমাদেরকে জানো না হচ্ছে ৷ ততদিন আমরা অবস্থানরত থাকব ৷"
প্রসঙ্গত, ভর্তির জন্য টাকা লাগত প্রায় 4 হাজার। কিন্তু নতুন ফি হিসাবে তা হতে চলেছে 7 হাজার 200 টাকা ৷ আর টিউশন ফি'র সঙ্গে ল্যাব এবং প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা বাবদ টাকা লাগত প্রায় 900 । যা এবারে বেড়ে দাঁড়াচ্ছে 2 হাজার 100 টাকা। কিন্তু এখানে বাড়ছে শুধুমাত্র টিউশন ফি ৷ এখনও পর্যন্ত ল্যাব বা পরীক্ষার টাকা বৃদ্ধি করার কোনও প্রস্তাব আসেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তরফে ৷ তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএফআই সংগঠনের তরফে বলা হচ্ছে, এই ফি বৃদ্ধি করার পরেও বিশ্ববিদ্যালয় অর্থের ঘাটতি থাকবে। তাই একমাত্র উপায় এখানে সরকারের থেকেই অর্থ নেওয়া।