বকখালি, 21 সেপ্টেম্বর: হোটেলের ঘরেই বসত আসর ৷ পর্যটন ব্যবসার আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে রমরমিয়ে মধুচক্র চালাছিল হোটেলের লোকজন ৷ বকখালি হোটেলে আচমকা হানা দিয়ে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আনল সুন্দরবন পুলিশ ৷ ঘটনায় ইতিমধ্যেই 5 জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷
জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে বকখালির একটি অভিজাত হোটেলে অভিযান চালান ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার পুলিশ ৷ সেই সময়েই পুরো বিষয়টি সামনে আসে তাঁদের ৷ তল্লাশিতে উঠে আসে একাধিক তথ্য ৷ সুন্দরবন পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জোনাল) কৌস্তভাদিত্য আচার্য শুক্রবার জানান, দীর্ঘদিন ধরে পর্যটন ব্যবসার আড়ালে মধুচক্রের আসর বসত হোটেলে ৷ মধুচক্রের কারবারের সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে 5 জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ।
এরপর ধৃতদের কাকদ্বীপ এসিজেএম আদালতে তোলা হয় ৷ প্রত্যেককে 5 দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর আবেদন জানানো হয় । জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে একজন ফ্রেজারগঞ্জ উপকূল থানার লক্ষীপুরের বাসিন্দা মদন পাত্র ৷ আরেকজন ভৃগুরাম রানা অমরাবতীর বাসিন্দা ৷ বাকি 3 জন হোটেলের ম্যানেজার বিকাশ মল্লিক, কাকদ্বীপের নারায়ণপুরের বাসিন্দা অরূপ বিশ্বাস ও গঙ্গাধরপুরের বাসিন্দা কৌশিক প্রধান ৷
ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন (1956)-এর 3, 4, 5 ও 7 ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে । মধুচক্রের আসর থেকে চার মহিলাকেও উদ্ধার করেছে পুলিশ ৷ এই বিষয়ে সরকারি আইনজীবী সব্যসাচী দাস বলেন, "বকখালির একটি অভিজাত হোটেলে ব্যবসার নাম করে দিনের পর দিন বসত মধুচক্রের আসর । গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার ওই হোটেলে অভিযান চালান সুন্দরবন পুলিশ জেলার একটি প্রতিনিধি দল । প্রতিনিধি দলের এই বিশেষ অভিযানে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য ৷ গ্রেফতার করা হয় পাঁচ জনকে । ধৃতদের শুক্রবার কাকদ্বীপ মহকুমার আদালতে পেশ করা হয় । তাদের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক । এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ৷