কলকাতা, 3 নভেম্বর: কালীপুজো ও দীপাবলিতে আতশবাজির ধোঁয়ায় বিষাক্ত কলকাতার বাতাস ৷ মাত্র দু’দিনে বায়ুদূষণ সূচকের মাত্রা বিপজ্জনক পর্যায়ে চলে গিয়েছে ৷ আর শব্দবাজির দাপটে কানপাতা দায় হয়েছে ৷ এখানেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ৷ পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরিবেশবিদদের একাংশ ৷ এই পরিস্থিতিতে শহরের দূষণ মাত্রা কমাতে কী করণীয়, তার কয়েকটি উপায় তুলে ধরলেন পরিবেশবিদ সোমেন্দ্র মোহন ঘোষ ৷
তিনি বলেন, "সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট থেকে জাতীয় পরিবেশ আদালত সবাই নির্দেশ দিয়েছিল কালীপুজোয় রাত 8-10টা পর্যন্ত বাজি ফাটানো যাবে ৷ কিন্তু, গত দু’দিন ধরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাজি ফাটল শহর কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় ৷ এর জেরে দু’দিন আগে যে বায়ুদূষণের সূচক ছিল 60, সেটাই এখন বেড়ে হয়েছে 400 ৷ উৎসব শেষেও কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় বাতাসের মান খুব খারাপ ৷ বালিগঞ্জ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এলাকায় দূষণের মাত্রা অত্যাধিক ৷ নির্দিষ্ট সময়ে বাজি ফাটানো হলে দূষণের মান মাঝামাঝি থাকত ৷ এখন যা পরিস্থিতি, তা জনস্বাস্থ্যের পক্ষে খারাপ ৷ এটা প্রশাসনের দেখা উচিত ৷
এই মুহূর্তে কীভাবে দূষণ ঠেকানো যাবে ? সোমেন্দ্র মোহন ঘোষের কথায়, "কলকাতা পুরনিগমের তরফে ওয়াটার স্প্রিংকলার দিয়ে গাছের পাতা পরিষ্কার করতে হবে ৷ তাহলে দূষণে খানিক লাগাম লাগবে ৷ বিভিন্ন রাস্তা জল দিয়ে ধোয়ানোও দরকার। তাঁর মতে, কালীপুজোতে দূষণ বাড়তে শুরু করে ৷ এরপরে যত ঠান্ডা পড়বে, কলকাতার বাতাসে দূষণের মাত্রা তত বাড়বে ৷ ফেব্রুয়ারির শেষ পর্যন্ত এমন পরিস্থিতি চলবে ৷"
শহরের বাসিন্দাদের কি করণীয় ? তিনি বলেন, "মাস্ক ব্যবহার করতে হবে ৷ দূষিত এলাকাগুলি যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা দরকার। দূরে থাকতে হবে আতশবাজি থেকেও ৷ প্রাতঃভ্রমণ বা ব্যায়াম করতে যাঁরা নিয়মিত যান, তাঁরা দূষণের সূচক কী বলছে তার দিকে নজর ৷ বাজি হৃদপিণ্ডে ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা যাঁদের আছে, তাঁরা দূষিত এলাকা থেকে দূরে থাকুন ৷"