কাকদ্বীপ, 16 সেপ্টেম্বর: দুর্যোগের সতর্কবার্তা পেয়ে গভীর সমুদ্র থেকে ফেরার পথে নিখোঁজ হয়ে গেল তিনটি ট্রলার । তিনটি ট্রলারে মোট 49 জন মৎস্যজীবী রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে । ট্রলারগুলির খোঁজে মৎস্যদফতর ইতিমধ্যেই উপকূলরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে ৷ তল্লাশিতে নেমেছে কোস্ট গার্ড । আজই খোঁজ শুরু করতে নামানো হচ্ছে হেলিকপ্টার ৷
কাকদ্বীপ ঘাট থেকে 'এফবি বাবা নীলকন্ঠ' ও ডায়মন্ডহারবার মৎস্যবন্দর থেকে 'এফবি শ্রী হরি' ও 'এফবি মা রিয়া' নামে তিনটি ট্রলার মাছ ধরতে গত আট ও নয় সেপ্টেম্বর গভীর সমুদ্রে পাড়ি দেয় । নিম্নচাপের জেরে ঝোড়ো হাওয়া ও সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠতে পারে বলে আবহাওয়া দফতরের সতর্কবার্তা পেয়ে ট্রলারগুলি উপকূলের দিকে ফিরছিল ।
মৎস্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার থেকে ওই ট্রলার তিনটির সঙ্গে কোনওভাবেই যোগাযোগ করা যাচ্ছে না । সময় যত গড়াচ্ছে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছে নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের পরিবার । সোমবার সকাল থেকেই মৎস্যজীবী পরিবারের সদস্যরা মালিকের বাড়ির সামনে ভিড় জমিয়েছেন । নিখোঁজ তিনটি ট্রলারে মোট 49 জন মৎস্যজীবী রয়েছেন । মৎস্যজীবী পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, "এখনও পর্যন্ত তাঁদের কোনও খবর দেওয়া হয়নি ।"
জানা গিয়েছে, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া থাকার কারণে সব মৎস্যজীবীই গভীর সমুদ্র থেকে ট্রলার নিয়ে উপকূলে ফেরা শুরু করেন । কিন্তু উপকূলে ফেরার সময় বাজ পড়ে কয়েকটি ট্রলারের মেশিন বিকল হয়ে যায় । ওই ট্রলারগুলির সঙ্গে কোনওভাবেই যোগাযোগ করা যাচ্ছে না । বিষয়টি উপকূলরক্ষী বাহিনীকে জানানো হয়েছে ।
কাকদ্বীপ ফিশারম্যান ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, "তিনটি ট্রলারের সঙ্গে কোনওভাবেই যোগাযোগ করা যাচ্ছে না । ওই তিনটি ট্রলারে মোট 49 জন মৎস্যজীবী রয়েছেন । উপকূল রক্ষী বাহিনী দুটি জাহাজ পাঠালেও, নিখোঁজ ট্রলারগুলিকে উদ্ধার করা যায়নি ৷ তাই আজ সকাল থেকে উপকূলরক্ষী বাহিনী হেলিকপ্টার নিয়ে সমুদ্রে তল্লাশি চালাবে বলে জানা গিয়েছে । এছাড়াও মৎস্যজীবী সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে পাঁচটি ট্রলার তল্লাশির জন্য সমুদ্রে পাড়ি দেবে ।" তিনি আরও জানান, "এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে আরও চারটি ট্রলার নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে । তবে কোন ট্রলারগুলি নিখোঁজ রয়েছে তা জানার চেষ্টা চলছে ।"