কলকাতা, 4 মার্চ: ভোটার তালিকা নিয়ে কমিশনের ফুল বেঞ্চের একাধিক প্রশ্নের মুখে পডলেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। সোমবার সকালে সবকটি স্বীকৃত রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে ভোটার তালিকায় ভুয়ো ভোটার নিয়ে সরব হয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। আর এই বিষয়টি নিয়ে একেবারেই হালকাভাবে নিচ্ছে না ফুল বেঞ্চ। এমনটাই কমিশন সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে।
এদিন জেলাশাসক, জেলার পুলিশ সুপার এবং কমিশনারেটের আধিকারিকদের সঙ্গেও বৈঠক করে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ ৷ আর সেই বৈঠকেও, একাধিক জেলাশাসককে কমিশনের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। সূত্রের খবর, ভোটার তালিকা থেকে কেন মৃত ব্যক্তিদের বাদ দেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়েও প্রশ্ন করে কমিশন।
এই বিষয়ে নিয়ে কমিশনের ফুল বেঞ্চের কাছে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে বলে খবর। বিশেষ করে বেশ কিছু নির্বাচনী আধিকারিকরা এই অসাধু কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন বলেও অভিযোগ এসেছে। আর তারপরই প্রশাসনের কর্তাদের কড়া ভাষায় ভর্ৎসনা করেছে কমিশন ৷ এর পাশাপাশি নির্বাচনের সময় কোথাও কোনও রকম গন্ডগোল বা হিংসার পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয়, সেই দিকেও বিশেষ নজর দিতে নির্দেশ দিয়েছে বেঞ্চ। জানা গিয়েছে, ফুল বেঞ্চের রোষের মুখে পড়েছে উত্তর 24 পরগনা, দক্ষিণ 24 পরগনা, ঝাড়গ্রাম এবং উত্তর দিনাজপুরের জেলা প্রশাসনের কর্তারা। কেন আইন মেনে কাজ হচ্ছে না, তা নিয়েও সওয়াল করেছে বেঞ্চ।
এর সঙ্গেই, জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রথম ফেজের আগে থেকেই কার্যকরী করতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, দক্ষিণবঙ্গ ও কোচবিহারে আরও ফাইন স্কোয়াড সার্ভিলিয়েন্স টিম ও স্ট্যাটিক সার্ভিলিয়েন্স টিমের সংখ্যা বাড়াতে হবে। জানা গিয়েছে, সমস্ত জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের ভুয়ো ভোটার এবং শান্তি কায়েম রাখা নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার।
জানা গিয়েছে, বৈঠকের এক ঘণ্টার মধ্যেই ভুয়ো ভোটার নিয়ে জেলাশাসক, পুলিশ সুপারদের বার্তা দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে। প্রত্যেক সপ্তাহে জেলাশাসক, পুলিশ সুপারদের রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠক করতে হবে বলেও জানিয়েছে কমিশন। লোকসভা নির্বাচনে বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পর থেকেই জেলাশাসক, পুলিশ সুপারদের সপ্তাহ ভিত্তিক বৈঠক বাধ্যতামূলক করল কমিশন। জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন