ETV Bharat / state

বিক্ষোভ উঠলেও এলাকায় এলেন না কাউন্সিলর, গেলেন কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা - Bansdroni Road Accident

Bansdroni Road Accident: বাঁশদ্রোনীতে দীর্ঘক্ষণ পর বিক্ষোভ উঠল। তবু রাত পর্যন্ত এলাকায় গেলেন না শাসক দলের কাউন্সিলর ৷ তাঁর সাক্ষাৎ চেয়েই বিক্ষোভে সামিল হন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরিবর্তে এলাকা ঘুরে দেখলেন কলকাতা পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরা ৷

Bansdroni Road Accident
উঠলেও এলাকায় এলেন না কাউন্সিলর (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Oct 2, 2024, 9:44 PM IST

কলকাতা, 2 অক্টোবর: সকাল থেকে দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা- প্রায় সাত ঘণ্টা পর বিক্ষোভ উঠল বাঁশদ্রোনীতে। পরে ঘেরাও মুক্ত হলেন পাটুলি থানার ওসি-সহ উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তারা। কিন্তু, যে কাউন্সিলরের সাক্ষাৎ চেয়ে স্থানীয়রা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন শেষ পর্যন্ত তাঁর দেখা পাওয়া যায়নি। এদিকে, পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া এবং মারধরের ঘটনায় এখন পর্যন্ত 5 জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মধ্যে, এক মহিলা বিজেপি কর্মীও আছেন বলে জানা গিয়েছে ।

ঘটনাস্থলে এসেছিলেন কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত নগরপাল প্রদীপ ঘোষাল থেকে শুরু করে দক্ষিণ শহরতলির ডিসি বিদিশা কলিতারা। তাঁরা স্থানীয়দের অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মায় সন্ধ্যায় পাটুলি থানায়ও যান । এদিকে, রাতে বিজেপি নেত্রী রূপা গাঙ্গুলি পাটুলি থানায় পৌঁছেছেন বলে জানা গিয়েছে ।

উঠলেও এলাকায় এলেন না কাউন্সিলর (ইটিভি বারত)

বুধবার সকালে কোচিং সেন্টারে যাওয়ার পথে জেসিবির ধাক্কায় এক পড়ুয়ার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। দীনেশ নগরের 113 নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ওই ছাত্রের মৃত্যুর খবর জানাজানি হতেই পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা। এলাকার মানুষের অভিযোগ, যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেখানে কয়েকদিন ধরে রাস্তা সারাইয়ের কাজ চলছিল। অভিযোগ, দ্রুতগতিতে যাওয়ার ফলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জেসিবি ধাক্কা মারে ওই পড়ুয়াকে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি। এরপরই এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়।

ঘাতক জেসিবিটি ভাঙচুরও করেন স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে পুলিশ। যদিও স্থানীয়দের একাংশ পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পাটুলি থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিককে ঘিরেও একাধিক প্রশ্ন করতে শুরু করে বিক্ষোভকারীরা। কে পাঠিয়েছেন তাঁকে, কেন পাঠানো হয়েছে তাঁকে, এই ধরনের প্রশ্ন তোলে স্থানীয়রা ৷ পাটুলি থানার ওসি-কে দীর্ঘক্ষণ ঘেরাও করে রাখে স্থানীয়রা। সকাল ন'টা থেকে প্রায় বিকেল সাড়ে চারটা-পাঁচটা পর্যন্ত ঘেরাও করে রাখা হয় তাঁকে। শেষমেশ তিনিও ঘেরামুক্ত হন।

কলকাতা পুলিশের দক্ষিণ শহরতলির ডিসি বিদিশা কলিতা বলেন, "গোটা ঘটনার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পে লোডারের চালক পলাতক। তার সন্ধানে মোবাইল লোকেশন ট্র্য়াক করে দেখা হচ্ছে। এছাড়াও, কোথা থেকে বহিরাগতরা এসেছিল ? কারা মহিলাদের উপর হামলা চালিয়েছে ? এবং পে লোডার কারা ভাঙল ? এই ধরনের যাবতীয় বিষয় খতিয়ে দেখব আমরা।"

কলকাতা, 2 অক্টোবর: সকাল থেকে দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা- প্রায় সাত ঘণ্টা পর বিক্ষোভ উঠল বাঁশদ্রোনীতে। পরে ঘেরাও মুক্ত হলেন পাটুলি থানার ওসি-সহ উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তারা। কিন্তু, যে কাউন্সিলরের সাক্ষাৎ চেয়ে স্থানীয়রা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন শেষ পর্যন্ত তাঁর দেখা পাওয়া যায়নি। এদিকে, পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া এবং মারধরের ঘটনায় এখন পর্যন্ত 5 জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মধ্যে, এক মহিলা বিজেপি কর্মীও আছেন বলে জানা গিয়েছে ।

ঘটনাস্থলে এসেছিলেন কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত নগরপাল প্রদীপ ঘোষাল থেকে শুরু করে দক্ষিণ শহরতলির ডিসি বিদিশা কলিতারা। তাঁরা স্থানীয়দের অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মায় সন্ধ্যায় পাটুলি থানায়ও যান । এদিকে, রাতে বিজেপি নেত্রী রূপা গাঙ্গুলি পাটুলি থানায় পৌঁছেছেন বলে জানা গিয়েছে ।

উঠলেও এলাকায় এলেন না কাউন্সিলর (ইটিভি বারত)

বুধবার সকালে কোচিং সেন্টারে যাওয়ার পথে জেসিবির ধাক্কায় এক পড়ুয়ার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। দীনেশ নগরের 113 নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ওই ছাত্রের মৃত্যুর খবর জানাজানি হতেই পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা। এলাকার মানুষের অভিযোগ, যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেখানে কয়েকদিন ধরে রাস্তা সারাইয়ের কাজ চলছিল। অভিযোগ, দ্রুতগতিতে যাওয়ার ফলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জেসিবি ধাক্কা মারে ওই পড়ুয়াকে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি। এরপরই এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়।

ঘাতক জেসিবিটি ভাঙচুরও করেন স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে পুলিশ। যদিও স্থানীয়দের একাংশ পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পাটুলি থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিককে ঘিরেও একাধিক প্রশ্ন করতে শুরু করে বিক্ষোভকারীরা। কে পাঠিয়েছেন তাঁকে, কেন পাঠানো হয়েছে তাঁকে, এই ধরনের প্রশ্ন তোলে স্থানীয়রা ৷ পাটুলি থানার ওসি-কে দীর্ঘক্ষণ ঘেরাও করে রাখে স্থানীয়রা। সকাল ন'টা থেকে প্রায় বিকেল সাড়ে চারটা-পাঁচটা পর্যন্ত ঘেরাও করে রাখা হয় তাঁকে। শেষমেশ তিনিও ঘেরামুক্ত হন।

কলকাতা পুলিশের দক্ষিণ শহরতলির ডিসি বিদিশা কলিতা বলেন, "গোটা ঘটনার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পে লোডারের চালক পলাতক। তার সন্ধানে মোবাইল লোকেশন ট্র্য়াক করে দেখা হচ্ছে। এছাড়াও, কোথা থেকে বহিরাগতরা এসেছিল ? কারা মহিলাদের উপর হামলা চালিয়েছে ? এবং পে লোডার কারা ভাঙল ? এই ধরনের যাবতীয় বিষয় খতিয়ে দেখব আমরা।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.