কলকাতা, 15 ডিসেম্বর: জুনিয়র চিকিৎসকদের পর এবার অবস্থানে বসছেন সিনিয়র চিকিৎসকরাও ৷ আগামী 17 ডিসেম্বর থেকে টানা 9 দিন অবস্থানে বসবেন জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্সের সদস্যরা ৷ আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় সিবিআই 90 দিনের মধ্যে চার্জশিট দিতে পারেনি ৷ এর ফলে জামিন পেয়ে গিয়েছেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডল।
অন্য মামলা থাকায় অবশ্য সন্দীপকে জেলেই থাকতে হচ্ছে। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে গিয়েছেন টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ। আর এবার সিবিআই চার্জশিট দিতে না পারার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে ডোরিনা ক্রসিংয়ে অবস্থানে বসতে চলেছেন সিনিয়র চিকিৎসকরা ৷
সিনিয়র চিকিৎসকদের দু'দফা দাবি রয়েছে ৷ তাঁদের প্রথম দাবি, অবিলম্বে সিবিআইকে চার্জশিট জমা দিতে হবে, যাতে বিচার পেতে আর কোনও বিঘ্ন না ঘটে ৷ দ্বিতীয় দাবি হিসেবে সিনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অন্যতম মূল অভিযুক্ত সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট পেশ করার জন্য সিবিআইকে যেন কোনও বাধার মুখে পড়তে না হয় ৷ এই মর্মে রবিবার কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মাকে একটি চিঠি দিয়েছে জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স ৷
কয়েকদিন আগে হুমকি-সংস্কৃতিতে অভিযুক্ত অভীক দে এবং বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে সরব হয়ে অবস্থানে বসেছিল জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স ৷ ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিলের সামনে প্রায় 30 ঘণ্টার অবস্থানে করেন তাঁরা ৷ সিনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে সেই অবস্থানে সামিল হয়েছিলেন সাধারণ মানুষও ৷ ছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরাও ৷ এরপর তাঁরা স্বাস্থ্য ভবনের দিকে রওনা দিয়েছিলেন ৷ সেখানে গিয়ে ডেপুটেশন জমা দেন আন্দোলনকারীরা ৷ তাঁদের সেই অবস্থানে পুলিশি অসহযোগিতার অভিযোগ বারবার উঠে এসেছে ৷ তাই এবারে যাতে সে ধরনের কোনও ঘটনা না ঘটে, সেই কথাও চিঠিতে লিখেছেন সিনিয়র চিকিৎসকরা ৷
পুজোর সময় এই একই জায়গায় (ডোরিনাক ক্রসিং) অনশন অবস্থান চালিয়েছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা ৷ দশ দফা দাবিকে সামনে রেখে অবস্থানে বসেছিলেন তাঁরা ৷ সেই সময় জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক হয়েছিল ৷ পরে আরজি করের নির্যাতিতার পরিবারের অনুরোধে সেই সময় অবস্থান তুলেছিলেন আন্দোলনকারীরা।
এর মধ্যে পরিস্থিতি বদলেছে ৷ সিবিআই 90 দিনের মধ্যে চার্জশিট দিতে না পারায় জামিন হয়েছে দুই অভিযুক্ত সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের ৷ তিনি বাড়ি ফিরে গেলেও ছাড়া পাননি আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ৷ এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার উপরে সিনিয়র চিকিৎসকদের ক্ষোভ জন্মেছে ।