ETV Bharat / state

'মানুষের জীবনের কোনও দাম নেই বিজেপির কাছে', দাবি প্রশান্ত ভূষণের - Prashant Bhushan - PRASHANT BHUSHAN

Supreme Court Lawyer: কেন্দ্রের বঞ্চনা ও বিজেপির একাধিক দুর্নীতি নিয়ে সরব 'দেশ বাঁচাও গণমঞ্চ'-এর প্রতিনিধিরা ৷ নির্বাচনী বন্ড নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করলেন সংগঠনের সদস্যরা।

Supreme Court Lawyer
আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : May 11, 2024, 10:38 PM IST

কলকাতা, 11 মে: নির্বাচনী বন্ড নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণ করলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ ৷ তাঁর দাবি, "মানুষের জীবনের কোনও দাম নেই গেরুয়া সরকারের কাছে।" শনিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে 'দেশ বাঁচাও গণমঞ্চ' আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের দুর্নীতির খতিয়ানও তুলে ধরা হয় ৷

আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ বলেন, "টাকা নিয়ে কেলেঙ্কারি করেছে মোদি সরকার। পাশাপাশি মানুষের জীবন নিয়ে ছেলেখেলাও করা হয়েছে। ড্রাগ রেগুলেটরি দ্বারা নিষিদ্ধ কোম্পানির থেকে কোটি কোটি টাকা বন্ড নিয়ে তাদের ভেজাল ওষুধ বাজারে ছাড়া হয়েছে। যা সেবন করেছে কোটি কোটি সাধারণ মানুষ। কার্যত, মানুষের জীবনবাজি রেখে নিজেদের কোষাগার ভরেছে বিজেপি।"

তাঁর আরও অভিযোগ, "ঋণ খেলাপি সংস্থা, বেআইনি, বিভিন্ন দোষে দুষ্ট কোম্পানিতে ইডি-সিবিআই পাঠানো হয়েছে। তারপর দেখা গিয়েছে, সেই সব সংস্থা কোটি কোটি টাকা বন্ড দিয়েছে বিজেপির কোষাগারে। চালাকি করে, গুপ্ত বন্ডের কথা বলা হয়েছিল। যেখানে কি না, বিশেষ নম্বর লেখা আলট্রা ভায়োলেট আলোতে ধরা পড়বে। তারপরও সেই গুপ্ত তথ্য বিজেপির কাছে পৌঁছয়। কারণ, এসবিআই কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রানাধীন সংস্থা। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ভিত্তিতে এসবিআইয়ের দেওয়া তথ্যে দেখা যায়, সবথেকে বেশি লাভবান হয়েছে বিজেপি। কার্যত, ঘুরপথে বন্ডের নামে ঘুষ নিয়েছে মোদি-অমিত শাহের গেরুয়া সরকার।"

সমাজকর্মী অঞ্জলি ভরদ্বাজ বলেন, "শীর্ষ আদালত এই বন্ডকে অসাংবিধানিক বলেছে। সাধারণ মানুষকে অবগত করতেই আদালত নির্দেশ দেয় যে, কে বা কারা বন্ড কিনেছে তাঁর সঠিক তথ্য নির্বাচন কমিশনারকে দেওয়া হোক। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেছিলেন, বন্ডের মাধ্যমে কালো টাকা উদ্ধার হবে। কিন্তু বাস্তব উলটো হল। ক্যাশ বিনিময় তো আটকানো গেল না বরং, দুর্নীতিকে সরকারি পোশাক পরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যা করেছে মোদি অমিত শাহের সরকার। 2018 সালের আগের এক বছরের তথ্য এখনও সামনে আসেনি। সামনে এলে চার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির তথ্য পাওয়া যাবে।" দেশকে দেউলিয়া করা, মানুষের জীবনকে শেষ করতে চাওয়া মোদি দেশের মানুষের কাছে ক্ষমা চান, এই দাবিও তোলেন 'দেশ বাঁচাও গণমঞ্চ'র প্রতিনিধিরা ৷

আরও পড়ুন

1. মামলা তুললেন কল্যাণ, মানিকতলা উপনির্বাচন নিয়ে রইল না আইনি বাধা

2. আগামী একমাস তীব্র পানীয় জলের সংকটের মুখে শিলিগুড়ি !

3. সন্দেশখালি কাণ্ডে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে রেখা শর্মার বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশের পথে তৃণমূল, জানালেন শশী পাঁজা -

কলকাতা, 11 মে: নির্বাচনী বন্ড নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণ করলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ ৷ তাঁর দাবি, "মানুষের জীবনের কোনও দাম নেই গেরুয়া সরকারের কাছে।" শনিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে 'দেশ বাঁচাও গণমঞ্চ' আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের দুর্নীতির খতিয়ানও তুলে ধরা হয় ৷

আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ বলেন, "টাকা নিয়ে কেলেঙ্কারি করেছে মোদি সরকার। পাশাপাশি মানুষের জীবন নিয়ে ছেলেখেলাও করা হয়েছে। ড্রাগ রেগুলেটরি দ্বারা নিষিদ্ধ কোম্পানির থেকে কোটি কোটি টাকা বন্ড নিয়ে তাদের ভেজাল ওষুধ বাজারে ছাড়া হয়েছে। যা সেবন করেছে কোটি কোটি সাধারণ মানুষ। কার্যত, মানুষের জীবনবাজি রেখে নিজেদের কোষাগার ভরেছে বিজেপি।"

তাঁর আরও অভিযোগ, "ঋণ খেলাপি সংস্থা, বেআইনি, বিভিন্ন দোষে দুষ্ট কোম্পানিতে ইডি-সিবিআই পাঠানো হয়েছে। তারপর দেখা গিয়েছে, সেই সব সংস্থা কোটি কোটি টাকা বন্ড দিয়েছে বিজেপির কোষাগারে। চালাকি করে, গুপ্ত বন্ডের কথা বলা হয়েছিল। যেখানে কি না, বিশেষ নম্বর লেখা আলট্রা ভায়োলেট আলোতে ধরা পড়বে। তারপরও সেই গুপ্ত তথ্য বিজেপির কাছে পৌঁছয়। কারণ, এসবিআই কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রানাধীন সংস্থা। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ভিত্তিতে এসবিআইয়ের দেওয়া তথ্যে দেখা যায়, সবথেকে বেশি লাভবান হয়েছে বিজেপি। কার্যত, ঘুরপথে বন্ডের নামে ঘুষ নিয়েছে মোদি-অমিত শাহের গেরুয়া সরকার।"

সমাজকর্মী অঞ্জলি ভরদ্বাজ বলেন, "শীর্ষ আদালত এই বন্ডকে অসাংবিধানিক বলেছে। সাধারণ মানুষকে অবগত করতেই আদালত নির্দেশ দেয় যে, কে বা কারা বন্ড কিনেছে তাঁর সঠিক তথ্য নির্বাচন কমিশনারকে দেওয়া হোক। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেছিলেন, বন্ডের মাধ্যমে কালো টাকা উদ্ধার হবে। কিন্তু বাস্তব উলটো হল। ক্যাশ বিনিময় তো আটকানো গেল না বরং, দুর্নীতিকে সরকারি পোশাক পরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যা করেছে মোদি অমিত শাহের সরকার। 2018 সালের আগের এক বছরের তথ্য এখনও সামনে আসেনি। সামনে এলে চার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির তথ্য পাওয়া যাবে।" দেশকে দেউলিয়া করা, মানুষের জীবনকে শেষ করতে চাওয়া মোদি দেশের মানুষের কাছে ক্ষমা চান, এই দাবিও তোলেন 'দেশ বাঁচাও গণমঞ্চ'র প্রতিনিধিরা ৷

আরও পড়ুন

1. মামলা তুললেন কল্যাণ, মানিকতলা উপনির্বাচন নিয়ে রইল না আইনি বাধা

2. আগামী একমাস তীব্র পানীয় জলের সংকটের মুখে শিলিগুড়ি !

3. সন্দেশখালি কাণ্ডে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে রেখা শর্মার বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশের পথে তৃণমূল, জানালেন শশী পাঁজা -

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.