পেট্রাপোল, 5 অগস্ট: ছাত্র আন্দোলনে জেরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। তারপরই বিএসএফের পক্ষ থেকে সীমান্তে জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট। উত্তর 24 পরগনার পেট্রাপোল সীমান্ত এলাকায় আঁটোসাটো করা হয়েছে নিরাপত্তা। নজরদারি বাড়িয়েছে বিএসএফ।
বিএসএফের পক্ষ থেকে পেট্রাপোল সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় থাকা সাধারণ মানুষ এবং ব্যবসায়ীদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ হয়ে গিয়েছে পারাপারও। যাত্রীরা জানিয়েছেন, তারা বাংলাদেশের যাওয়ার জন্য পেট্রাপোল সীমান্ত এসেছিলেন কিন্তু বিএসএফের পক্ষ থেকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। তাঁদের দাবি, বাংলাদেশের পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় ওপারে যেতে দেওয়া হয়নি।
অন্যদিকে, বিএসএফের উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের অধীনে থাকা প্রতিটি সীমান্ত সিল করে দেওয়া হল। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের বাড়তি জওয়ানও মোতায়েন করা হয়েছে ৷ এদিন সকালেই কলকাতায় পৌঁছে গিয়েছেন বিএসএফের কার্যনির্বাহী ডিজি। বিএসএফের উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের তত্ত্বাবধানে মোট চারটি আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে। এগুলি হল, বালুরঘাটের হিলি আন্তর্জাতিক সীমান্ত, জলপাইগুড়ির ফুলবাড়ি সীমান্ত, কোচবিহারের চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত ও হলদিবাড়ি চিলাহাটি রেলপথ ও তিনিবিঘা করিডোর সিল করা হয়েছে। রবিবার থেকেই ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের ব্যবসা বাণিজ্য নিয়ে একটা সমস্যা তৈরি হয়। বিকেল পাঁচটার মধ্যে বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায়। এরপর সীমান্তে কড়া নজরদারি শুরু করে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করার পরেই আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির উপর প্রভাব পড়েছে ৷ এরপরেই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের বাড়তি বিএসএফ জওয়ানও মোতায়েন করা হচ্ছে। বিএসএফ-এর উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের জলপাইগুড়ি সেক্টর, শিলিগুড়ি রাধাবাড়ি সেক্টর, রায়গঞ্জ সেক্টর ও কিষানগঞ্জ সেক্টরের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কড়া নজরদারি শুরু করেছেন জওয়ানরা। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টিয়ার সুত্রে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের সীমান্ত পরিস্থিতির কথা চিন্তা করেই করা নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সীমান্তে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। অনির্দিষ্টকালের জন্য সব সীমান্ত সিল করা হয়েছে।