সোদপুর, 13 অগস্ট: আরজি কর হাসপাতাল-কাণ্ডে এবার নিহত মহিলা চিকিৎসকের সোদপুরের বাড়িতে সংবাদ মাধ্যমের প্রবেশ নিষিদ্ধ করল পুলিশ। শুধু সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করাই নয়! রাজনৈতিক দলের নেতাদের অবাধ যাতায়াতও নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর থেকেই পুলিশের এই তৎপরতা চোখে পড়েছে। এজন্য নিহতের বাড়ির গলির ঠিক সামনে পুলিশের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। রয়েছে পুলিশ পিকেট-ও। যাতে সংবাদ মাধ্যম এবং রাজনৈতিক দলগুলির অবাধ যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করা যায়!আর পুলিশের এই অতি তৎপরতা ঘিরেই উঠেছে প্রশ্ন।
পুলিশের এই পদক্ষেপের পর নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷ অনেকেই জানতে চাইছেন তাহলে কি নিহত চিকিৎসকের বাবা-মাকে সংবাদ মাধ্যমের থেকে এড়াতেই পুলিশের এই ব্যবস্থা? নাকি মৃতের পরিবারের লোকেরা এনিয়ে মুখ খুললে অস্বস্তি বাড়তে পারে রাজ্য সরকারের? এমনই সব প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে।
বুধবার দুপুরে নিহত মহিলা চিকিৎসকের সোদপুরের বাড়িতে গিয়েছিলেন রাজ্য মহিলা কমিশনের দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল।তাঁরা মৃতের বাবা-মা'র সঙ্গে কথা বলে সেখান থেকে বেরিয়ে যেতেই তৎপরতা বাড়ে পুলিশের। এরপর,দুপুর গড়াতেই নিহতের বাড়ির ঠিক সামনে গলির প্রবেশদ্বার ঘিরে দেওয়া হয় পুলিশের ব্যারিকেড দিয়ে।
স্থানীয় লোকজনের দাবি,'এদিন সকাল পর্যন্ত পুলিশের এই তৎপরতা চোখে পড়েনি। মেয়েটির বাড়ির গলির প্রবেশদ্বারও ঘিরে দেওয়া ছিল না। ফলে পাড়ার লোকজন সেখানে অবাধে যাতায়াত করতে পারছিলেন। বেলা গড়াতেই সেই যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করে দেওয়া হয়েছে। ইচ্ছা থাকলেও অনুমতি ছাড়া কেউ সেখানে আর প্রবেশ করতে পারছেন না।
আর এতেই শুরু হয়েছে জোর চর্চা! পুলিশের অতি সক্রিয়তা নিয়েও গুঞ্জন চলছে নানা মহলে। এদিকে,নিহতের বাড়ির সামনে পুলিশের যে তৎপরতা বেড়েছে তা মালুম পাওয়া গিয়েছিল সিপিএমের যুব নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ছাত্র-যুব সংগঠনের এক প্রতিনিধি দল সেখানে যাওয়ার পর। অভিযোগ, নিয়ম মেনে এদিন মীনাক্ষী সহ পাঁচজনের প্রতিনিধি দল সোদপুরে শোকার্ত পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গেলে প্রথমে পুলিশ আটকায়।মীনাক্ষী ছাড়া আর কাউকেই ভিতরে ঢোকার অনুমতি পুলিশ না দিলে এনিয়ে কর্তব্যরত অফিসারের সঙ্গে তখন বচসা বেঁধে যায় প্রতিনিধি দলের সদস্যদের।