মালদা, 9 ডিসেম্বর: অশান্ত বাংলাদেশ ! সংখ্যালঘুদের উপর চলছে অত্যাচার ৷ বাদ পড়ছে না সংখ্যাগরিষ্ঠদের একাংশও ৷ ফলে এই মুহূর্তে এপার বাংলায় ওপার থেকে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা রয়েছে ৷ ইতিমধ্যেই সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়েছে বিএসেফ ৷ এবার মালদা রেল ডিভিশনের তরফেও মালদা টাউন স্টেশনে নজরদারি বাড়ানো হল ৷ সিসি ক্যামেরায় যেমন স্টেশনের প্রতিটি কোনায় কড়া নজরদারি চলছে, তেমনই নজরে রাখা হচ্ছে যাত্রীদের গতিবিধিও ৷ সামান্য সন্দেহ হলেই শুরু হচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদ ৷
মালদা স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন প্রায় 100 যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করে ৷ গোটা দেশের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে এই স্টেশনের ৷ এদিকে এই স্টেশন থেকে মাত্র 8-10 কিলোমিটার দূরেই ইন্দো-বাংলাদেশের সীমান্ত ৷ স্বাভাবিক কারণেই রেল মন্ত্রকের তরফে এই স্টেশনে নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ এসেছে ৷ সেই নির্দেশ মেনে স্টেশনে বাড়ানো হয়েছে আরপিএফ জওয়ানের সংখ্যা ৷ তৎপরতা বেড়েছে জিআরপি কর্মীদেরও ৷ 24 ঘণ্টা ধরেই স্টেশনে চলছে নজরদারি ৷ মাইকিং করে যাত্রীদের সচেতন করা হচ্ছে, কোনও সন্দেহভাজন নজরে পড়লেই তাঁরা যেন 139 নম্বরে ফোন করে বিষয়টি জানান ৷
আরপিএফ-এর মালদা টাউন স্টেশনের ইন্সপেকটর ওমপাল সিং বলেন, “বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কারণে রেল মন্ত্রকের তরফে আমাদের কাছে নির্দেশ এসেছে, কোনও সন্দেহভাজনকে দেখা গেলেই তাকে তল্লাশি চালাতে হবে ৷ সেই নির্দেশ মেনে আমরা জিআরপির সহযোগিতায় কাজ শুরু করেছি ৷ তেমন কেউ নজরে এলে তার পরিচয়পত্র, তার সঙ্গে কী জিনিস রয়েছে, সে সব খতিয়ে দেখছি ৷ ট্রেনেও আমরা সন্দেহভাজন লোকজনকে পরীক্ষা করছি ৷ যাত্রীদের সতর্ক করতে মাইকিং করা হচ্ছে ৷ তবে শুধু সন্দেহভাজনদের জন্যই নয়, রাতে চলন্ত ট্রেনে চুরি-ছিনতাই আটকাতেও আমরা সবাইকে সতর্ক করছি ৷”
ওমপাল সিং আরও বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা চেকিং-এর জন্য প্ল্যাটফর্মে কর্মীর সংখ্যা বাড়িয়েছি ৷ আট ঘণ্টার জায়গায় কখনও আমাদের 12 ঘণ্টাও ডিউটি করতে হচ্ছে ৷ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনও রয়েছে ৷ সেগুলিতে আমাদের স্পেশাল চেকিং চলে ৷ আমরা আমাদের স্নিফার ডগকে প্রতিদিনই কাজে লাগাই ৷ এখান দিয়ে অনুপ্রবেশকারীরাও অন্য জায়গায় চলে যেতে পারে ৷ তাই আমরা বিএসএফ-এর সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলি ৷ বিএসএফ-এর তরফে মাঝেমধ্যে আমরা তথ্য পাই ৷ অবশ্য আমাদেরও গোয়েন্দা বিভাগ রয়েছে৷ দু’দিন আগেই আমরা এভাবে অভিযান চালিয়ে হেরোইন কারবারে জড়িত এক মহিলাকে ধরতে পেরেছি ৷”