জলপাইগুড়ি, 31 অক্টোবর: গরুমারা জাতীয় উদ্যানের উপর নজরে রয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারতের চোরাশিকারী এবং বন্যপ্রাণী পাচারকারীদের । এই খবর পেয়েই আঁটোসাটো নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হল জাতীয় উদ্যানকে । গরুমারা জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন বিভিন্ন বনবস্তি, বাসস্ট্যান্ড, রেলওয়ে স্টেশনে অভিযান চালালেন বিভাগীয় বনাধিকারিক ও বনকর্মীরা । আর দীপাবলি উৎসব ও ছট পুজো উৎসবের সময় সবাই যখন আনন্দে আত্মহারা তখনই চোরাশিকারীরা জাতীয় উদ্যানের বন্যপ্রাণীদের হত্যা করতে পারে বলে জানিয়ে সতর্ক করা হয়েছে স্থানীয়দের ।
বুধবার ডুয়ার্সের নাগরাকাটা ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় গরুমারা বন্যপ্রাণ শাখার বিভাগীয় বন আধিকারিক দ্বিজপ্রতিম সেনের নেতৃত্বে বিশেষ অভিযান চালানো হয় । সঙ্গে ছিলেন সহকারী বিভাগীয় বন আধিকারিক রাজীব দে-সহ বিভিন্ন রেঞ্জের রেঞ্জাররা । এদিন গরুমারা বন্যপ্রাণী বিভাগের স্নিফার ডগকে নিয়ে তল্লাশি চালানো হয় । গরুমারা বন্যপ্রাণী বিভাগের অন্তর্গত চারটি স্কোয়াড ও দুটি রেঞ্জের বনকর্মীদের নিয়ে রেলস্টেশন, বাসস্ট্যান্ড, ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে অভিযান চালানোর পাশাপাশি জঙ্গল লাগোয়া বসতি এলাকায় সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হয় ।
বনবস্তির কোনও ঘরে আশ্রয় নিয়েই মূলত চোরাশিকারিরা অবৈধ কাজ করে থাকেন । সেই কারণে এদিন বনবস্তির বাসিন্দাদের সচেতন করা হয় ।এলাকায় অপরিচিত কোনও সন্দেহভাজন কাউকে দেখলে বনদফতর কিংবা পুলিশকে খবর দিতে বলা হয়েছে । তাছাড়া পরিবহণ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত স্থানীয়দের সতর্ক করে বলা হয়েছে, সন্দেহভাজন কোনও ব্যক্তি বড় কোনও ব্যাগ নিয়ে থাকলে বা সন্দেহজনক ভাবে চলাফেরা করলে বন দফতরকে খবর দিতে বলা হয়েছে । গতকালও জলদাপাড়া বন্যপ্রাণী বিভাগের বনকর্মীরা বন্যপ্রাণীর দেহাংশ পাচারের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ।
গরুমারা বন্যপ্রাণী বিভাগের বিভাগীয় বনাধিকারিক দ্বিজপ্রতীম সেন বলেন, "আমাদের কাছেখবর আছে যে, আছে এখানে চোরাকারবারিদের হানা হতে পারে । গরুমারা জাতীয় উদ্যানে যাতে কোনও ভাবেই চোরাকারবারিরা ঢুকতে না পারেন, সেজন্য আমরা অ্যালার্ট রয়েছি । সেই কারণেই বনবস্তিবাসীদের সচেতন করা হল । উৎসবের মরসুমে প্রচুর মানুষ আসেন এই এলাকায় । অসাধু ব্যক্তিরা এই সুযোগকে কাজে লাগায় । আমরা তাই অ্যালার্ট রয়েছি । বিগত দিনগুলিতে দেখেছি, চোরাকারবারিরা স্থানীয় পরিবহণ ব্যবহার করে থাকে । তাই আমরা পরিবহণ ব্যবসায়ীদেরকেও সতর্ক করলাম ।