ETV Bharat / state

কাগুজে সিগন্যাল জারি করতে পারবেন না স্টেশন মাস্টার, জানাল শিয়ালদা ডিভিশন - Issuing Paper Signal Form

Kanchanjungha Express Accident: যে অথরিটি লেটারের জন্য কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ও মালগাড়ি ট্রেনটি যাচ্ছিল, সেই লেটারে নিষেধাজ্ঞা জারি করল শিয়ালদা রেলওয়ে ডিভিশন ৷ অটোমেটিক সিগন্যাল খারাপ থাকলে এই অথরিটি লেটার বা কাগুজে সিগন্যাল জারি করে থাকেন স্টেশন মাস্টাররা ৷ আপাতত তা বন্ধ রইল ৷

Kanchanjungha Express Train Accident
কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jun 20, 2024, 6:33 PM IST

Updated : Jun 21, 2024, 12:39 PM IST

নয়াদিল্লি, 20 জুন: পরবর্তী নির্দেশ না-আসা পর্যন্ত টি/এ 912 লেটার জারি করা যাবে না, জানাল শিয়ালদা রেলওয়ে ডিভিশন ৷ স্টেশন মাস্টার এই অথরিটি লেটার বা কাগুজে সিগন্যাল ট্রেনের চালককে জারি করে থাকেন ৷ যাতে অটোমেটিক বা স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল খারাপ থাকলেও চালক নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে লাল সিগন্যাল পেরিয়ে যেতে পারেন ৷

এদিন শিয়ালদা ডিভিশনের (পূর্ব রেলওয়ে) সিনিয়র ডিভিশনাল অপারেশনাল ম্যানেজার একটি বিবৃতি জারি করেন, "জিএম (জেনারেল ম্যানেজার), পিসিএসও (মুখ্য সুরক্ষা আধিকারিক) এবং অন্যান্য পিএইচওডি-দের (অন্য দফতরের মুখ্য আধিকারিক) মধ্যে গতকাল একটি বৈঠক হয় ৷ তাতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আগামী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত টি/এ 912 জারি করার প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে ৷ যাঁরা এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের এই নির্দেশ কঠোরভাবে পালন করতে হবে ৷ কোনও রকম বিচ্যুতি হলে তা অত্যন্ত কড়াভাবে বিবেচনা করা হবে ৷"

কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার তদন্তে এই অথরিটি লেটার বা কাগুজে সিগন্যাল জারি করা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে ৷ 17 জুন ভোর 5.50 মিনিট থেকে রাঙাপানি (RNI) এবং চটের হাট (CAT) স্টেশনের মধ্যে কাজ করছিল না স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং ৷ এই অবস্থায় রাঙাপানির কর্তব্যরত স্টেশন মাস্টার কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস এবং পণ্যবাহী ট্রেনের চালককে কাগুজে সিগন্যাল বা টি/এ 912 দিয়েছিলেন ৷ সেই অথরিটির জোরেই দু'টি ট্রেন একই লাইনে অটোমেটিক লক সিস্টেম বন্ধ থাকা সত্ত্বেও চলছিল ৷

ওই মালগাড়ি ট্রেনটি নিয়ম না মেনে দ্রুত গতিতে চলছিল ৷ ট্রেনটি একই লাইনে থাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে পিছন দিক থেকে জোরে ধাক্কা মারে ৷ তার অভিঘাত এতটাই ছিল যে, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের শেষের দিকের কয়েকটি বগি মালগাড়ির ইঞ্জিনের উপর উঠে যায় ৷ মৃত্যু হয় মালগাড়ি ট্রেনটির চালক অনিল কুমারের ৷ এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে 10 জনের ৷ আহত 40 ৷ এই ঘটনার পরে রেলওয়ে বোর্ডের আধিকারিক এবং লোকো পাইলট ইউনিয়নদের মধ্যে টি/এ 912 জারি করা নিয়ে বিতর্ক বাধে ৷

এদিকে রেলের তদন্তে প্রাথমিকভাবে উঠে এসেছে যে, 17 জুন ভোরে রাঙাপানি (RNI) এবং চটের হাট (CAT) স্টেশনের মধ্যে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় টি/এ 912 অথরিটি লেটার জারি করা হয় ৷ এই ফর্মের পাশাপাশি 'টি 369 (3B)' ফর্মও দেওয়া হয়েছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ও মালগাড়ি- দুয়ের চালককেই ৷

টি/এ 912 ফর্মটির কথা দুর্ঘটনার দিনই জানা গিয়েছিল ৷ তবে টি 369 (3B) ফর্মটির বিষয়ে বৃহস্পতিবারই প্রথম সামনে এল ৷ এই ফর্ম অনুযায়ী, স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং ব্যবস্থা খারাপ থাকলে স্টেশন মাস্টার ট্রেনের চালক ও গার্ডকে এই ফর্মের মাধ্যমে ট্রেন চালানোর অনুমতি দিতে পারেন ৷ তবে এই কাগুজে পদ্ধতিতে ট্রেন চালালে তার গতিবেগ যেন কোনও ভাবে ঘণ্টায় 15 কিমির বেশি না হয় ৷ এই দু'টি ফর্ম অনুযায়ী রেলের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ, মালগাড়ি ট্রেনটির চালক অনিল কুমার টি 369 (3B)-এর নিয়মকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দ্রুতগতিতে ট্রেন চালিয়েছিলেন ৷

রেলের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ এই কথা জানালেও রেল সূত্রে খবর, এর সঙ্গে একমত হতে পারেননি নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের চিফ লোকো ইনস্পেক্টর বা সিএলআই ওমপ্রকাশ শর্মা ৷ তাঁর মতে, কর্তব্যরত স্টেশন মাস্টারের টি/এ 912 ফর্মের বদলে টি/ডি 912 ফর্ম জারি করা উচিত ছিল ৷ তাই এখানে রাঙাপানি স্টেশন মাস্টারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে ৷

টি/ডি 912 ফর্ম কী বলছে ? এই ফর্ম অনুযায়ী এক বা একাধিক স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং ব্যবস্থা দীর্ঘক্ষণ ধরে অচল থাকলে এবং দু'টি জায়গার মধ্যে যোগাযোগ ঠিক থাকলে, সেক্ষেত্রে এই ফর্ম জারি করতে পারেন স্টেশন মাস্টার ৷ তবে এক্ষেত্রে দু'টি স্টেশনের মধ্যে দিয়ে শুধুমাত্র একটি ট্রেন চলতে পারবে এবং তার গতিবেগ কোনওভাবেই প্রতি ঘণ্টায় 25 কিমির বেশি হবে না ৷ তাই রাঙাপানি স্টেশনের কর্তব্যরত স্টেশন মাস্টার টি/ডি 912 ফর্ম জারি করলে, হয় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস নতুবা মালগাড়ি ট্রেনটিই যাওয়ার অনুমতি পেত ৷

নয়াদিল্লি, 20 জুন: পরবর্তী নির্দেশ না-আসা পর্যন্ত টি/এ 912 লেটার জারি করা যাবে না, জানাল শিয়ালদা রেলওয়ে ডিভিশন ৷ স্টেশন মাস্টার এই অথরিটি লেটার বা কাগুজে সিগন্যাল ট্রেনের চালককে জারি করে থাকেন ৷ যাতে অটোমেটিক বা স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল খারাপ থাকলেও চালক নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে লাল সিগন্যাল পেরিয়ে যেতে পারেন ৷

এদিন শিয়ালদা ডিভিশনের (পূর্ব রেলওয়ে) সিনিয়র ডিভিশনাল অপারেশনাল ম্যানেজার একটি বিবৃতি জারি করেন, "জিএম (জেনারেল ম্যানেজার), পিসিএসও (মুখ্য সুরক্ষা আধিকারিক) এবং অন্যান্য পিএইচওডি-দের (অন্য দফতরের মুখ্য আধিকারিক) মধ্যে গতকাল একটি বৈঠক হয় ৷ তাতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আগামী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত টি/এ 912 জারি করার প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে ৷ যাঁরা এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের এই নির্দেশ কঠোরভাবে পালন করতে হবে ৷ কোনও রকম বিচ্যুতি হলে তা অত্যন্ত কড়াভাবে বিবেচনা করা হবে ৷"

কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার তদন্তে এই অথরিটি লেটার বা কাগুজে সিগন্যাল জারি করা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে ৷ 17 জুন ভোর 5.50 মিনিট থেকে রাঙাপানি (RNI) এবং চটের হাট (CAT) স্টেশনের মধ্যে কাজ করছিল না স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং ৷ এই অবস্থায় রাঙাপানির কর্তব্যরত স্টেশন মাস্টার কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস এবং পণ্যবাহী ট্রেনের চালককে কাগুজে সিগন্যাল বা টি/এ 912 দিয়েছিলেন ৷ সেই অথরিটির জোরেই দু'টি ট্রেন একই লাইনে অটোমেটিক লক সিস্টেম বন্ধ থাকা সত্ত্বেও চলছিল ৷

ওই মালগাড়ি ট্রেনটি নিয়ম না মেনে দ্রুত গতিতে চলছিল ৷ ট্রেনটি একই লাইনে থাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে পিছন দিক থেকে জোরে ধাক্কা মারে ৷ তার অভিঘাত এতটাই ছিল যে, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের শেষের দিকের কয়েকটি বগি মালগাড়ির ইঞ্জিনের উপর উঠে যায় ৷ মৃত্যু হয় মালগাড়ি ট্রেনটির চালক অনিল কুমারের ৷ এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে 10 জনের ৷ আহত 40 ৷ এই ঘটনার পরে রেলওয়ে বোর্ডের আধিকারিক এবং লোকো পাইলট ইউনিয়নদের মধ্যে টি/এ 912 জারি করা নিয়ে বিতর্ক বাধে ৷

এদিকে রেলের তদন্তে প্রাথমিকভাবে উঠে এসেছে যে, 17 জুন ভোরে রাঙাপানি (RNI) এবং চটের হাট (CAT) স্টেশনের মধ্যে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় টি/এ 912 অথরিটি লেটার জারি করা হয় ৷ এই ফর্মের পাশাপাশি 'টি 369 (3B)' ফর্মও দেওয়া হয়েছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ও মালগাড়ি- দুয়ের চালককেই ৷

টি/এ 912 ফর্মটির কথা দুর্ঘটনার দিনই জানা গিয়েছিল ৷ তবে টি 369 (3B) ফর্মটির বিষয়ে বৃহস্পতিবারই প্রথম সামনে এল ৷ এই ফর্ম অনুযায়ী, স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং ব্যবস্থা খারাপ থাকলে স্টেশন মাস্টার ট্রেনের চালক ও গার্ডকে এই ফর্মের মাধ্যমে ট্রেন চালানোর অনুমতি দিতে পারেন ৷ তবে এই কাগুজে পদ্ধতিতে ট্রেন চালালে তার গতিবেগ যেন কোনও ভাবে ঘণ্টায় 15 কিমির বেশি না হয় ৷ এই দু'টি ফর্ম অনুযায়ী রেলের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ, মালগাড়ি ট্রেনটির চালক অনিল কুমার টি 369 (3B)-এর নিয়মকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দ্রুতগতিতে ট্রেন চালিয়েছিলেন ৷

রেলের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ এই কথা জানালেও রেল সূত্রে খবর, এর সঙ্গে একমত হতে পারেননি নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের চিফ লোকো ইনস্পেক্টর বা সিএলআই ওমপ্রকাশ শর্মা ৷ তাঁর মতে, কর্তব্যরত স্টেশন মাস্টারের টি/এ 912 ফর্মের বদলে টি/ডি 912 ফর্ম জারি করা উচিত ছিল ৷ তাই এখানে রাঙাপানি স্টেশন মাস্টারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে ৷

টি/ডি 912 ফর্ম কী বলছে ? এই ফর্ম অনুযায়ী এক বা একাধিক স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং ব্যবস্থা দীর্ঘক্ষণ ধরে অচল থাকলে এবং দু'টি জায়গার মধ্যে যোগাযোগ ঠিক থাকলে, সেক্ষেত্রে এই ফর্ম জারি করতে পারেন স্টেশন মাস্টার ৷ তবে এক্ষেত্রে দু'টি স্টেশনের মধ্যে দিয়ে শুধুমাত্র একটি ট্রেন চলতে পারবে এবং তার গতিবেগ কোনওভাবেই প্রতি ঘণ্টায় 25 কিমির বেশি হবে না ৷ তাই রাঙাপানি স্টেশনের কর্তব্যরত স্টেশন মাস্টার টি/ডি 912 ফর্ম জারি করলে, হয় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস নতুবা মালগাড়ি ট্রেনটিই যাওয়ার অনুমতি পেত ৷

Last Updated : Jun 21, 2024, 12:39 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.