কলকাতা, 28 জুন: গান্ধিমূর্তির পাদদেশে বসে কেটে গেল 1 হাজার 200 দিন । এখনও হাতে মিলল না নিয়োগপত্র । দুর্নীতির জটিলতায় যা আটকে রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে । চিন্তায় রয়েছেন লক্ষ লক্ষ সরকারি শিক্ষকরা । কিন্তু সমান তালে 1 হাজার 200 দিন এবং তারও আগে থেকে 8 বছর ধরে চিন্তায় রয়েছেন যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা । কবে নিজেদের যোগ্য স্থানে ফিরতে পারবেন, সেই প্রশ্নই দিনের পর দিন উঠে আসছে তাঁদের মঞ্চ থেকে ।
শুক্রবার গান্ধিমূর্তির পাদদেশে জমায়েত করেছিলেন নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীরা । ধরনার 1200 দিন উপলক্ষে তাঁদের এই জমায়েত । যেখানে মূল দাবি ছিল দ্রুত নিয়োগ চাই । এক চাকরিপ্রার্থী অভিষেক সেনের বক্তব্য, "1200 দিন এবং তার আগের আট বছর ধরে আমরা বঞ্চিত । পরবর্তীকালে হাইকোর্টের তরফে বলে দেওয়া হল সকলের চাকরি বাতিল ৷ এর ফলে যে যোগ্য তাঁরও চাকরি চলে গেল । একবারও কমিশন কলকাতা হাইকোর্টে যোগ্য এবং অযোগ্য পৃথক করে তালিকা দেয়নি ৷ তাই আজকের এই হয়রানির জন্য দায়ী কমিশন নিজে ।"
- ধরনামঞ্চের দু'বছর, 'মানবিক' মুখ্যমন্ত্রীকে ডেপুটেশন আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের
অপরদিকে আরেক চাকরিপ্রার্থী পলাশ মণ্ডলের কথায়, "এই অপেক্ষা করার কারণে আমাদের সকলের বয়স বেড়ে গিয়েছে । 2016 সালে আমরা পরীক্ষা দিয়েছিলাম । তখন আমাদের বয়স যা ছিল এখন ধীরে ধীরে তা বেড়ে যাচ্ছে ৷ এই দায়িত্বটা সরকার ও কমিশনকে নিতে হবে । তাদের দুর্নীতির কারণে আমার জীবন থেকে এতগুলো দিন কেটে গিয়েছে । নির্বাচনের আগে প্রত্যেক বছর অনেক আশ্বাসবাণী দেওয়া হয় । এবারও একই জিনিস হয়েছিল ৷ নির্বাচন কেটে যাওয়ার পর একটা বৈঠক ও শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে হয়নি ।"
এই মঞ্চে ধরনার 1 হাজার দিন উপলক্ষে সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন তৎকালীন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ । মঞ্চে উপস্থিত হয়ে তিনি ফোন করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রীকে । ব্রাত্য বসুর সঙ্গেও একটি বৈঠক ঠিক করা হয়েছিল । সেই বৈঠক প্রায় তিনবার হয়েছে । কিন্তু সদুত্তর মেলেনি । কবে নিজেদের যোগ্য জায়গা ফিরে পাবেন তারা সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে ধরনার 1200তম দিনেও ৷