দুর্গাপুর, 3 জুন: নাবালিকা পরিচারিকাকে শারীরিক নির্যাতন এবং ধর্ষণে অভিযুক্ত সরকারি স্কুলশিক্ষক ৷ বিষয়টি কাউকে জানালে পরিচারিকাকে খুনের হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ ৷ ইতিমধ্যেই পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করে ৷ সোমবার তাকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয় ৷ বিচারক অভিযুক্তকে চারদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন ৷
ডিসিপি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা জানিয়েছেন, ধর্ষণের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তে নেমে দুর্গাপুর ফরিদপুরের এক প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে ৷ নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষার জন্য সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ৷ তদন্ত চলছে ৷
নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগ, "আমরা দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালাই। এলাকার প্রাথমিক শিক্ষকের বাড়িতে মেয়েকে নিয়ে পরিচারিকার কাজ করতে যেতাম। আমার কয়েকদিন শরীর খারাপ হয়েছিল। আমি যেতে না-পারলে মেয়েকে পাঠানোর কথা বলেন ওই শিক্ষক ৷ না-পাঠালে মজুরি কেটে নেওয়ার কথা বলতেন। তাই বাধ্য হয়ে মেয়েই যেত কাজ করতে। আর সেই সুযোগেই মেয়ের উপর লাগাতার ধর্ষণ করেছেন অভিযুক্ত শিক্ষক। মেয়েকে হুমকি দিয়ে বলতো যদি কাউকে জানালে মেরে ফেলবে। আমরা শিক্ষকের কঠিন শাস্তির দাবি জানাচ্ছি ৷"
দুর্গাপুর নগর নিগমের 24 নম্বর ওয়ার্ডের পুরমাতা লাভলি রায় বলেন, "এই ধরনের ঘটনা কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। আমি বিষয়টি জানতে পেরেই নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশকে জানিয়েছি। পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে। দলের তরফ থেকেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।" জানা গিয়েছে, ওই শিক্ষক নাকি তৃণমূল দলের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন ৷ এই প্রসঙ্গে, বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই জানান, সন্দেশখালির প্রতিফলন সারা বাংলায় দেখা দিয়েছে ৷ একজন শিক্ষক নাবালিকাকে ধর্ষণ করেছেন ৷ ভাবা যায় না ৷ মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে ৷ তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা মা-বোনের ইজ্জত নিয়ে খেলা করছে ৷ যদিও অভিযুক্ত শিক্ষকের দাবি, পুরো অভিযোগ ভিত্তিহীন। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। তিনি কোনও দলের সঙ্গেও যুক্ত নন ।