কলকাতা, 29 জুলাই: আরজি কর মেডিক্য়াল কলেজের প্রাক্তন ছাত্র সমিতির সম্পাদক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন শান্তনু সেন। বিভিন্নভাবে হেনস্তা হওয়ার জেরেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা শান্তনু সেন ৷ এর ফলে ফের নয়া জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে ৷
প্রাক্তন ছাত্র সংসদের কার্যকরী সভাপতি ডক্টর শিবশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে নিজের পদত্যাগ পত্র ইতিমধ্যেই পাঠিয়েছেন রাজ্যসভার প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। তিনি বেশ কিছু বিষয়ও তুলে ধরেছেন চিঠিতে। সেই চিঠিতেই তিনি উল্লেখ করেছেন, তাঁকে বিভিন্নভাবে হেনস্থা করা হয়েছে। এমনকী ইচ্ছাকৃতভাবে বেশ কিছু অপ্রীতিকর পরিস্থিতিও তৈরি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁর।
গত 27 তারিখ একটি বৈঠক ছিল এই কমিটির। সেখানে তিনি যোগ না দিয়ে এই চিঠি পাঠান সভাপতিকে, যা প্রকাশ্যে এসেছে সোমবার । শান্তনু সেন তাঁর নিজের পদত্যাগ পত্রে জানিয়েছেন, "বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে আমায় অপমানজনক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে, যা শুধু তাঁকে নয়, তাঁর পরিবারের ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলেছে । সেক্রেটারি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই তিনি বুঝতে পেরেছেন, ওই সিনিয়র সদস্যের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাঁদের স্বার্থে আমাকে ব্যবহার করছে । অ্যাসোসিয়েশনের সুষ্ঠু পরিচালনায় ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে ।" যদিও এই চিঠির বিষয়ে একাধিকবার ইটিভি ভারতের তরফে শান্তনু সেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি ফোন ধরেননি ।
প্রসঙ্গত, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ঘিরে শান্তনু সেনের বিষয়ে লেগে আছে একাধিক ঝামেলার অভিযোগ । এর আগে ওই হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন তিনি । পরবর্তীতে সেই দায়িত্ব থেকে তাঁকে সরিয়ে দিয়ে আনা হয়েছিল সুদীপ্ত রায়কে। কিন্তু ফের বদলে শান্তনু সেনকে দায়িত্ব দেওয়া হয় । পরে আবারও বিজ্ঞপ্তি জারি করে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হন চিকিৎসক সুদীপ্ত রায়। চেয়ারম্যান পদে থাকাকালীন শান্তনু সেন হাসপাতালের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে পদ থেকে সরানোর ব্যবস্থা করেছিলেন বলে অভিযোগ । অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও তুলেছিলেন শান্তনু । যদিও নিজের পদ থেকে সরেননি অধ্যক্ষ ।