কলকাতা, 11 অক্টোবর: মহাসপ্তমীর সন্ধ্যায় বিতর্ক তৈরি হল কলকাতার অন্যতম বড় পুজো সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে ৷ পুজো উদ্যোক্তাদের অভিযোগ, পুলিশ মণ্ডপে দর্শনার্থীদের প্রবেশে বাধা দিয়েছে ৷ ইচ্ছাকৃতভাবে রাস্তা আটকে দেওয়া হয়েছে, যাতে দর্শনার্থীরা মণ্ডপ পর্যন্ত পৌঁছতে না পারে ৷
পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা সজল ঘোষ এই নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় সরব হন ৷ প্রতিবাদে মণ্ডপের সব আলো নিভিয়ে দেওয়া হয় ৷ যদিও এই নিয়ে পুলিশের তরফে কারও কোনও বক্তব্য মেলেনি ৷
উল্লেখ্য, সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো কলকাতার অন্যতম বড় পুজো তো বটেই, পাশাপাশি বহু বছর ধরেই এখানে দুর্গাপুজোর আয়োজন হয়ে আসছে ৷ প্রতিবারই থিমে নানা চমক থাকে এই পুজো মণ্ডপে ৷ গতবার রামমন্দিরের আদলে মণ্ডপ তৈরি করে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল এই পুজো কমিটি ৷
এবারের থিম লাসভেগাসের স্ফিয়ার ৷ সেই গোলকে ফুটে উঠছে বিভিন্ন ছবি ৷ তার মধ্যে অন্যতম আরজি কর-কাণ্ডের জাস্টিসের দাবি ৷ প্রতিবারের মতো এবারও দলে দলে মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন সেখানে ৷ তার মধ্যেই মহাসপ্তমীর সন্ধ্যায় বিতর্ক তৈরি হল ৷
পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা সজল ঘোষ সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লেখেন, "পুলিশ মানুষকে ঢুকতে দিচ্ছে না ৷ বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে মানুষকে ঘোরানো হচ্ছে, ফলে বাধ্য হয়ে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের আলো আপাতত শুধু প্রতিবাদের আলো হয়ে জ্বলে থাকল ।"
তাই মণ্ডপে যে আলোর প্রদর্শনী চলছিল, তা বন্ধ করে দেওয়া হয় ৷ পাশাপাশি নিভিয়ে দেওয়া হয় অন্যান্য আলোও ৷ সেই কারণে সজল ঘোষ নিজেই দর্শনার্থীদের মণ্ডপ ছেড়ে চলে যেতে বলেন ৷ উদ্যোক্তাদের দাবি, এই নিয়ে কলকাতা পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেও পরিস্থিতির মোকাবিলা করা যায়নি ৷
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, কলকাতার কোনও না কোনও পুজোর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা জড়িত রয়েছেন ৷ তার মধ্যে একমাত্র ব্যতিক্রম সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার ৷ কারণ, এই পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা সজল ঘোষ কলকাতা পুরসভার বিজেপি কাউন্সিলর ৷ গেরুয়া শিবিরের অন্যতম মুখ ৷ তাই তাঁর পুজোতে প্রতিবারই বিজেপির শীর্ষস্তরের নেতারা উপস্থিত থাকেন ৷
2023 সালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ উপস্থিত ছিলেন ৷ বৃহস্পতিবার এসেছিলেন বিজেপির জাতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জগৎ প্রকাশ নাড্ডা ৷ বিজেপির নেতার উদ্যোগে এই পুজো, বিজেপির শীর্ষ নেতারা সেখানে যান, সেই কারণেই কলকাতা পুলিশকে দিয়ে এমন পদক্ষেপ করিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার, এমনটাই অভিযোগ বিজেপির ৷
এই নিয়ে অবশ্য এখনও পর্যন্ত পুলিশের কোনও বক্তব্য মেলেনি ৷ শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসেরও কেউ এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি ৷