কলকাতা, 22 অগস্ট: চিকিৎসক পড়ুয়ার মৃত্যুর পর পুলিশে অভিযোগ দায়ের করার জন্য কোনও এক বিশেষ ব্যক্তির সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় ছিলেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। তাঁকে জেরা করে এমনই তথ্য হাতে পেলেন সিবিআই গোয়েন্দারা ৷ কিন্তু, কে সেই বিশেষ ব্যক্তি ? কেন ব্যক্তির অনুমতি ছাড়া হাসপাতালের অধ্যক্ষ এতবড় একটা ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ পর্যন্ত করতে পারেন না ?
বিগত কয়েকদিন ধরে রোজই আরজি করে চিকিৎসক পড়ুয়া ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সিবিআই দফতরে হাজিরা দিচ্ছেন হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। এবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেলেন তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা ৷ সিজিও কমপ্লেক্স সূত্রের খবর, বুধবার রাতে সন্দীপ ঘোষকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, চিকিৎসক পড়ুয়ার দেহ উদ্ধারের পর পুলিশে অভিযোগ করতে এত সময় কেন লেগেছিল ? সিবিআই সূত্রের খবর, এই প্রশ্নের জবাবে সন্দীপ ঘোষ জানান, তিনি এই বিশেষ কারণের জন্য একজনের নির্দেশের অপেক্ষা করছিলেন। তবে কোন বিশেষ ব্যক্তির নির্দেশের অপেক্ষায় ছিলেন, আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ? এই বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা ৷
ইতিমধ্যেই প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের মোবাইল ফোন ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে ৷ সূত্রের খবর, ঘটনার দিন প্রচুর মোবাইল ডেটা ব্যবহার করেছিলেন তিনি ৷ অর্থাৎ ঘটনাটি ঘটার পর তিনি অবশ্যই কলে কোন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তবে হাসপাতালে এতবড় এবং ভয়াবহ ঘটনা ঘটার পর তিনি কাঁদের সঙ্গে এই কথা বললেন ? আর কেনই-বা বললেন ? সেই নিয়ে রহস্যের দানা বেঁধেছে ৷ বৃহস্পতিবার তাঁকে ফের তলব করেছে সিবিআই ৷ সন্দীপ ঘোষের পাশাপাশি তাঁর গাড়ি চালককেও ডেকে পাঠিয়েছেন তদন্তকারীরা।
সিবিআই সূত্রে খবর, সন্দীপ ঘোষের পাশাপাশি হাসপাতালে উপস্থিত তৎকালীন পুলিশ আধিকারিকদের বিষয়টিও খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা ৷ প্রয়োজনে কলকাতা পুলিশের বেশ কয়েকজন আধিকারিকদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।