কলকাতা, 20 সেপ্টেম্বর: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক ছাত্রীর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার তদন্তে নতুন তথ্য হাতে এল সিবিআইয়ের ৷ হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে জেরা করে বেশকিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে পেরেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা ৷
সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন যে, গত 9 অগস্ট ওই তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের দিন টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের থেকে প্রথমে বিষয়টি জেনেছিলেন সন্দীপ । আর সন্দীপই নাকি সেদিন টালা থানার তৎকালীন ওসি-কে ফোন করে ঘটনাস্থলে যেতে বলেন । জানা গিয়েছে, এরপরে ঘটনাস্থলে যান অভিজিৎ মণ্ডল । পরে তিনি লালবাজারের পদস্থ আধিকারিকদের গোটা বিষয়টি জানান ।
এখানেই সিবিআইয়ের প্রশ্ন, কেন পুলিশের একজন ওসি-কে ঘটনাস্থলে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন আরজি করের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ? পাশাপাশি এই বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে যে, কেন এত বড় ঘটনাটি টালা থানার তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ লালবাজারের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের জানাতে দেরি করলেন ?
সিবিআই সূত্রের খবর, এবিষয়ে আরও তথ্য জানার চেষ্টা করলেও টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল এবং আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ দু'জনেই জিজ্ঞাসাবাদের সময় মুখে কুলুপ এঁটেছেন । তবে এবিষয়ে বিশদে তথ্য জানার চেষ্টা করছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা ৷
উল্লেখ্য, গত 9 অগস্ট আরজি কর হাসপাতালের চারতলার সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয় তরুণী চিকিৎসকের দেহ । পরে তদন্তে উঠে আসে যে, এটি ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা । তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন কলকাতা পুলিশেরই সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায় । তবে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সেই ঘটনার তদন্তভার চলে যায় সিবিআইয়ের হাতে । পরে এই ঘটনার তদন্তে নেমে সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার প্রাক্তন অফিসার ইনচার্জ অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই ।