কলকাতা, 29 মার্চ: পুলিশ হেফাজতে সন্দেশখালিকাণ্ডের মূলপাণ্ডা শেখ শাহজাহান ৷ সিবিআই সূত্রের খবর, হেফাজতে থাকাকালীন প্রত্যেক 48 ঘণ্টা অন্তর স্বাস্থ্য পরীক্ষা হত তার ৷ আদালতের নির্দেশ মতোই জোকার ইএসআই হাসপাতালে প্রতিদিন স্বাস্থ্য পরীক্ষা হত শেখ শাহজাহানের ৷ সেই রিপোর্ট অনুযায়ী সুগার না থাকলেও শেখ শাহজাহানের আছে উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যা । যার জন্য নিয়মিত তাকে ওষুধ খেতে হয় । পুলিশ হেফাজতের পরই সেই ওষুধ খেতে অনীহা প্রকাশ করছে শেখ শাহজাহান ৷
এটাই প্রথম নয়, এর আগে নিজাম প্যালেসে সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীনও ওষুধ খেতে অনীহা প্রকাশ করেছিল সে ৷ তবে চাপে পড়ে অবশ্য ওষুধ খাওয়া শুরু করেছিল ৷ বৃহস্পতিবার আবার শাহজাহানের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় বসিরহাট আদালত ৷ পুলিশ হেফজতের পরই আবারও শুরু ওষুধ খেতে অনিহা প্রকাশ সন্দেশখালির বেতাজ বাদশার ৷ এদিন রাত থেকেই উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ খাওয়া কার্যত বন্ধ করে দিয়েছে শাহজাহান । সংশোধনাগার সূত্রের খবর, চিকিৎসকের পরামর্শে তাঁর প্রেসক্রাইব করা ওষুধ শাহজাহানকে দিলে প্রথম দিকে সেটা নিতে সে অস্বীকার করে । ওষুধটা হাতে নিলেও তা সকালে খায়নি ৷ জায়গার জিনিস জায়গাতেই ছিল ৷ ওষুধ খাওয়া তাঁর জন্য অত্যন্ত জরুরি ৷ এই পরিস্থিতিতে ওষুধ খেতে অনীহা প্রকাশ করলে স্বাস্থ্যের অবনতি হতে পারে এমনটাই ধারণা অনেকের ৷
বৃহস্পতিবার সিবিআই হেফাজত শেষ হয়েছে শাহজাহানের ৷ এবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর-এর গোয়েন্দারা শাহজাহানকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চায় । শনিবার আবারও আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। শাহজাহানের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে ৷ সবথেকে বড় অভিযোগ মাছের ব্যবসায় দুর্নীতি । তদন্তে নেমেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা জানতে পারেন যে আর্থিক দুর্নীতিতে যুক্ত । একাধিক ব্যবসায়ীকে হুমকিও পর্যন্ত দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে । শেখ শাহজাহানকে এই মাছের ব্যবসার দুর্নীতির ঘটনাতেই সংশোধনাগারে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি ।
আরও পড়ুন: