সামশেরগঞ্জ, 20 অগস্ট: কথায় আছে, নদীর ধারে বাস চিন্তা বারো মাস । সামশেরগঞ্জের নদীপাড়ের বাসিন্দাদের দুশ্চিন্তার কালো মেঘ কাটতেই চায় না । গঙ্গা পাড়ের বাসিন্দাদের রাত কাটে ভাঙন আতঙ্কে । দিন কয়েক নদীর আগ্রাসন বন্ধ থাকার পর ফের পাড় ভাঙতে শুরু করেছে । আতঙ্কে বাড়িঘর ভেঙে সরাতে শুরু করেছেন বাসিন্দারা ।
সোমবার রাত থেকেই পাড় ভাঙতে শুরু করেছে । মঙ্গলবার সকাল থেকে এলাকার সাতটি পরিবার বাড়ি ভাঙতে শুরু করেছে । আপাতত পরিবারগুলি স্থানীয় একটি স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন । প্রশাসনের কেউ খোঁজখবর না-নেওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছে দুর্গত পরিবারগুলি ।
ফের গঙ্গা ভাঙনের আতঙ্ক দানা বেঁধেছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে । সোমবার রাত থেকেই ভাঙনের কবলে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে সামশেরগঞ্জ ব্লকের প্রতাপগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের লোহরপুর গ্রামে । ইতিমধ্যেই মাটির বাঁধ সংলগ্ন এলাকায় ফাটল দেখা গিয়েছে ৷ পাশাপাশি গঙ্গাগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে 50 মিটার কৃষিজমি । তলিয়ে গিয়েছে একটি শৌচালয় । যে কোনও মুহূর্তে বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় আতঙ্কিত হয়ে এলাকা ছেড়ে পালাচ্ছেন গ্রামবাসীরা । বাড়ির যাবতীয় আসবাবপত্র সরিয়ে নিয়ে অন্যত্র যাওয়ার চেষ্টা করছেন তাঁরা । ভাঙনের কবলে পড়েছে প্রায় 30টিরও বেশি পরিবার ।
এদিকে, লাগাতার একে একে বিভিন্ন গ্রাম গঙ্গার গ্রাসে তলিয়ে যেতে থাকায় কার্যত ক্ষোভ লক্ষ্য করা গিয়েছে গ্রামবাসীদের মধ্যে । ভাঙন প্রতিরোধে সরকারকে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ । সাতটি বাড়ি গঙ্গা পাড়ে বিপজ্জনকভাবে ঝুলছে । বিপদের ঝুঁকি নিয়েই পরিবারগুলি ইট, দরজা জানালা খুলে নিয়ে যাচ্ছেন । গ্রামবাসীর দাবি, গ্রাম নদীর থেকে দেড় কিমি দূরে ছিল । জমি গ্রাস করতে করতে নদী এখন প্রায় গ্রাম ছুঁয়েছে । আজ রাতের মধ্যেই সাতটি বাড়ি নদীগর্ভে তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে বলে আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসীরা ।