কোচবিহার, 1 অক্টোবর: 7 লক্ষ টাকা বিল বাকি থাকায় পায়রা সাপ্লাই বন্ধ ! অভিযোগ, তার জেরে কোচবিহার মদনমোহন মন্দিরে আনন্দময়ী কালী ও জয়তারা পুজোতে বলিও বন্ধ রয়েছে ৷ ফলে বন্ধ হয়ে গিয়েছে পুজোও ৷ তারই প্রতিবাদে ধরনায় মন্দিরের পুরোহিতরা ৷ এমনই নজিরবিহীন ঘটনা কোচবিহার মদনমোহন মন্দিরে ৷ প্রতিবাদে পুজো না-করে মন্দিরের বাইরে ধরনায় বসে রয়েছেন পুরোহিতরা ৷
পুরোহিতদের অভিযোগ, মদনমোহন মন্দিরের ইতিহাসে এই প্রথমবার এই ধরনের ঘটনা ঘটল ৷ পায়রা সাপ্লাই না-থাকায় বলি বন্ধ হয়েছে এমনটা এখানে হয়নি ৷ যদিও কোচবিহার দেবোত্তর ত্রাস্ট বোর্ডের সচিব কৃষ্ণগোপাল দাস ধারা বলেন, "পায়রা সাপ্লাই দিতে দেরি হওয়ায় কিছুটা সমস্যা হয়েছিল ৷ জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ যে ব্যক্তি পায়রা সাপ্লাই দেন, তাঁর কিছু বিল বকেয়া রয়েছে ৷ বকেয়া বিল পরিশোধ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ৷
উল্লেখ্য, 1890 সাল নাগাদ মহারাজা নৃপেন্দ্র নারায়ণের আমলে কোচবিহার মদনমোহন মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয় ৷ মদনমোহনের পাশাপাশি আনন্দময়ী কালী এবং জয়তারার মূর্তি স্থাপন করেও পুজো শুরু হয় ৷ এই জয়তারা ও আনন্দময়ী কালীর পুজোয় প্রতিদিন পায়রা বলি দেওয়ার প্রথা রয়েছে ৷ শুরু থেকেই এই প্রথা চলে আসছে ৷ কিন্তু মঙ্গলবার পুরোহিত পুজোতে বসলেও, দেখা যায় বলির পায়রা আসেনি ৷ ফলে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকতে হয় পুরোহিতদের ৷ এরপর মন্দিরের সামনে ধরনায়র বসে পড়েন তাঁরা ৷
এই ঘটনায় হইচই পড়ে যায় মদনমোহন মন্দিরে ৷ পুজোর জন্য অপেক্ষা করে থাকেন আগত ভক্তরাও ৷ পুজো বন্ধ রয়েছে খবর পেয়ে মদনমোহন মন্দিরে পৌঁছান দেবোত্তর ট্রাস্টের সচিব কৃষ্ণগোপাল দাস ধারা ৷ জরুরি ভিত্তিতে পায়রার ব্যবস্থা করেন তিনি ৷ এরপর বলি দেওয়া হলে, পুজো শুরু হয় ৷ পুরোহিত খগপতি মিশ্র বলেন, "যিনি পায়রা সাপ্লাই দেন, তাঁর বিল বকেয়া থাকায় পায়রা আসেনি ৷ ফলে বলি দেওয়া যায়নি ৷ আমরা বসে ছিলাম ৷ যদিও পরে সমস্যা মিটে যায় ৷"