যাদবপুর, 27 এপ্রিল: কথায় বলে 'মাছে-ভাতে বাঙালি' ৷ গ্রীষ্মের প্রখর তাপপ্রবাহে বাঙালির সেই চিরন্তন ধারায় খানিক ছেদ পড়ছে বৈকি ৷ তবে হাজার গরম কিংবা প্রচারের ফাঁকেও বাঙালিয়ানা বজায় রাখছেন যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সায়নী ঘোষ ৷ শনিবার সকালে প্রচারে তাঁর গন্তব্য ছিল বারুইপুর কাছারি বাজার এবং পুরনো বাজার ৷ দুই বাজার থেকে থলে ভরতি করে মাছ কিনলেন সায়নী ৷ প্রচারের ফাঁকে 'খোঁচা' দিতে ছাড়লেন না প্রতিদ্বন্দ্বী সৃজন ভট্টাচার্যকেও ৷
যাদবপুরের সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য সম্প্রতি প্রচারের ফাঁকে জানিয়েছিলেন, লোকসভা নির্বাচনের পর যাদবপুর লালে লাল হয়ে যাবে ৷ প্রতিদ্বন্দ্বীর কথার পরিপ্রেক্ষিতে সায়নী ঘোষ এদিন বলেন, "34 বছরে সিপিএম এমন কাজ করেছে, লাল কাপড়টা এখন বিরিয়ানি হাঁড়িতেই বেশি দেখা যায়। এখন বাজারে এসেছি আনন্দ করতে, যাদবপুর লাল হবে না নীল হবে; সে সব পরে দেখা যাবে।"
প্রচারে বেরিয়ে সায়নি এদিন প্রথমে যান যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বারুইপুর কাছারি বাজারে ৷ এদিন তাঁর প্রচারসঙ্গী হয়েছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সেখান থেকে ট্যাংরা, ভেটকি, চিংড়ি, কচি পাঁঠার মাংস কেনেন 'অপরাজিত' অভিনেত্রী ৷ এরপর বারুইপুর পুরোনো বাজার থেকেও মাগুর, ভেটকি-সহ বিভিন্ন মাছ এবং শাকসবজি কেনেন সায়নী ৷ এরপর প্রচার শেষে তিনি বাড়ি ফিরে যান ৷ সায়নীর কথায়, বাড়িতে বাবাকে তিনি জানিয়েই এসেছেন, মাছের বাজার আজ তিনিই করবেন ৷ ফলত মাছের সমস্ত পদ তাঁর বাড়িতেই রান্না হবে বলে জানান যুব তৃণমূল নেত্রী তথা যাদবপুরের প্রার্থী ৷
কথার পৃষ্ঠে কথা, বাকযুদ্ধে শুরু থেকেই সরগরম যাদবপুর কেন্দ্রের প্রচার ৷ তৃণমূল এবং সিপিএমের দুই তরুণ প্রার্থীর দাপটে সেখানে প্রচারে কিছুটা ব্যাকফুটে বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় ৷ সবকিছুর মধ্যেও প্রচারে বেরিয়ে সৌজন্য বিনিময়ও সারতে দেখা গিয়েছে সায়নী-সৃজনকে ৷
আরও পড়ুন: