কলকাতা, 26 মার্চ: বাংলা তথা সমস্ত রাজ্যে এবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুট মার্চের উপর নজর রাখবে জাতীয় নির্বাচন কমিশন ৷ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কার্যালয়ের তরফে এমনই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে ৷
এই রাজ্য তথা অন্যান্য রাজ্যেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুট মার্চ ঠিক নিয়ম মেনে হচ্ছে কি না, তার উপরেও এবার নজরদারি চালানো হবে বলে জানিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এই মর্মে আগামী 29 মার্চ থেকেই প্রতিদিন সকাল 10টার মধ্যে বাহিনী কোথায় কোথায় টহল দেবে বা দিচ্ছে, সেই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য দিয়ে হার্ড কপি এবং ই-মেলের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমিশন সূত্রে খবর, এই তথ্য প্রথমে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নোডাল অফিসারের দফতর থেকে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কার্যালয়ে পৌঁছে দিতে হবে ৷ এরপর সেখান থেকে তা পাঠানো হবে জাতীয় নির্বাচন কমিশন ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে।
রাজ্যের জন্য এবার মোট 920 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করছে নির্বাচন কমিশন ৷ লোকসভা ভোট ঘোষণার আগেই রাজ্যে 150 কোম্পানি কোন্দ্রীয় বাহিনী এসে গিয়েছে ৷ বাকি বাহিনীও ইতিমধ্যেই রাজ্যে ঢুকতে শুরু করেছে ৷ এর মাঝেই বিরোধীরা অভিযোগ তুলতে শুরু করেছে, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঠিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে না ৷ সেবিষয়ে এবার নড়েচড়ে বসল কমিশন ৷ এবারের লোকসভা নির্বাচনে সিআরপিএফ-কে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কো-অর্ডিনেট হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশ, 'SITREP' রিপোর্ট (সিচুয়েশন রিপোর্ট) বা গতিবিধি সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য 'sic-gdesk@mha.gov.in'-এ মেইল করতে হবে।
উল্লেখ্য, বিরোধীরা বারে বারেই অভিযোগ করেছিল, রাজ্যে নির্বাচনের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা দিতে আসা কেন্দ্রীয় বাহিনী যখন রুটমার্চ, এলাকা পরিদর্শন, এরিয়া ডমিনেশন এবং কনফিডেন্স বিল্ডিংয়ের কাজ করছে তখন পুলিশ তাঁদের ভ্রান্ত পথে চালিত করছে। স্পর্শকাতর জায়গাগুলোতে না নিয়ে গিয়ে অন্য পথে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এছাড়াও তারা দাবি করেছে যে রুট মার্চ সঠিক ভাবে না করে কেন্দ্রীয় বাহিনীদের বসিয়ে রাখা হচ্ছে। তাই এবার এই সব অভিযোগকে কড়া ভাবে দমন করতেই এই নির্দেশিকা জারি করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন: