চন্দ্রকোনা, 6 জুন: ভোট মিটলেও রাজ্য রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী ৷ ভোট পরবর্তী হিংসা এড়াতে স্পর্শকাতর এলাকায় চলছে বাহিনীর রুটমার্চ । তেমনই গণনার পর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা থানার বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের । বালা, ঝাঁকরা, শ্যামগঞ্জ,ধান্যগাছি, ভোতাখালি-সহ একাধিক জায়গায় জওয়ানদের নিয়ে রুটমার্চ করায় চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ । ভোট পরবর্তী হিংসা এড়ানোর পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যে ভয়ভীতি কাটাতে বাহিনীর এই রুটমার্চ বলে জানা গিয়েছে ।
তবে স্থানীয়দের দাবি, কথা ছিল ভোটের আগে কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে এলাকায় নিরাপত্তা দেবে । সেই সঙ্গে মানুষের পাশে থেকে ভরসা জোগাবে ৷ এলাকায় এলাকায় রুট মার্চও করবে । কিন্তু বাস্তবে এমনটাই হয়নি বলে রাজ্যের শাসক দলের পাশাপাশি বিরোধী প্রার্থীরা অভিযোগ করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে । সেই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে এবার ভোটের পর এলাকায় এলাকায় রুট মার্চ করাল রাজ্য পুলিশ । তারা মানুষের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি ভরসা জোগায় এ দিন ।
প্রসঙ্গত, জাতীয় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়, ভোট প্রক্রিয়া মিটলেও 19 জুন পর্যন্ত রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে । ভোট পরবর্তী কোন অশান্তির ঘটনা ঘটলে বাহিনীকে ব্যবহার করে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার কথা বলা হয় । রাজ্য সরকারের অধীনেই এই কদিন বাহিনী থাকবে এমনটাও কমিশনের তরফে জানানো হয় । আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত চন্দ্রকোনা বিধানসভায় গণনার পর এখনও সেভাবে অশান্তির ঘটনা না ঘটলেও নিয়মিত বাহিনীকে দিয়ে রুমটার্চ করাচ্ছে চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ ।
চন্দ্রকোনা থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোট পর্ব মিটলেও থানার অধিনে রয়েছে এক কোম্পানি বাহিনী । বাহিনীকে দিয়ে শুধু রুটমার্চ নয়, এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাদের ভরসা জোগানো হচ্ছে পুলিশের তরফে । পাশাপাশি ভোট পরবর্তী এলাকায় অশান্তির মতো ঘটনা ঘটছে কি না সে-সম্পর্কে সাধারণ মানুষের থেকে খোঁজ নেন পুলিশ আধিকারিকরা ।