সোদপুর, 11 ডিসেম্বর: সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন আরজি করে নিহত চিকিৎসকের বাবা। আদালতে দাঁড়িয়ে মিথ্যা কথা বলছে সিবিআই ৷ এমনই অভিযোগ করেছেন নিহত চিকিৎসকের বাবা ৷ তাঁর কথায়, "আদালতে দাঁড়িয়ে এত সহজে মিথ্যা কথা বলা যায়, সেটা দেখেই আশ্চর্য হচ্ছি।"
আরজি করের তরুণী চিকিৎসকের মর্মান্তিক পরিণতির চার মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও সুবিচার পায়নি নির্যাতিতার পরিবার। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানির দিকেই তাকিয়ে ছিলেন নিহত চিকিৎসকের বাবা-মা। কিন্তু শুনানি শেষে আরজি কর মামলা নিয়ে হতাশ হয়েছেন তাঁরা। মামলার শুনানিতে সিবিআইয়ের আইনজীবীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রীতিমতো সরব হয়েছেন আরজি করের নিহত চিকিৎসকের পরিবার।
সুপ্রিম কোর্টের প্রতি আস্থা হারানোর কথাও শোনা গেল তাঁদের মুখে। নিহত চিকিৎসকের বাবা বলেন, "সুপ্রিম কোর্ট আমাদের জন্য কিছু করবে না এটা আমরা ভালোভাবেই বুঝে গিয়েছি। কোর্টের এজলাসে দাঁড়িয়ে এত সহজে মিথ্যা কথা বলা যায়, সেটা দেখে আশ্চর্য হচ্ছি। মিথ্যার উপর দাঁড়িয়ে সুপ্রিম কোর্টে মনিটরিং হচ্ছে । সিবিআইয়ের আইনজীবী কোর্টে দাঁড়িয়ে বলছে, সিবিআই নাকি সব সময় আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। কিন্তু আমরা তদন্তের ব্যাপারে কিছুই জানি না।"
অভিযোগ তুলে নির্যাতিতার বাবা বলেন, "সিবিআই আমাদের বলেছিল, পরিবারের সঙ্গে কথা বলেই চার্জশিট জমা দেবে ৷ কিন্তু, আদতে তা হয়নি।আমাদের না জানিয়েই শিয়ালদহ কোর্টে চার্জশিট জমা পড়ে গিয়েছে। জানতে চাইছি সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট কবে জমা দেবে, কিন্তু কিছুই জানাচ্ছে না সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা। সিবিআইয়ের আচরণ নিয়ে আমরা যথেষ্ট ধোঁয়াশায় মধ্যে আছি।" প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় অবসর নেওয়ার পর মঙ্গলবার এই মামলা প্রথমবার শুনল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার ডিভিশন বেঞ্চ। খুন এবং ধর্ষণ মামলার বিচার প্রক্রিয়া ছাড়াও এদিনের শুনানিতে আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি, ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্সের প্রসঙ্গও উঠে এসেছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে আগামী 17 মার্চ।
চার মাস পর আবারও আরজি কর মামলার শুনানির দিন স্থির হওয়ায়, এ নিয়ে আশাহত নিহত চিকিৎসকের পরিবার। এই বিষয়ে নির্যাতিতার বাবা বলেন, "প্রথম চার্জশিটে 51 জন সাক্ষীর মধ্যে 39 জনের সাক্ষী হয়ে গিয়েছে। বাকি সাক্ষী নিয়ে আর খুব বেশি 7 থেকে 10 দিন সময় লাগার কথা।তাহলে চার মাস সময় নেওয়ার মানে কী হল ? এর মধ্যে তো নিম্ন আদালতে বিচার প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে। তাহলে সুপ্রিম কোর্ট মনিটর কী করবে !"