ETV Bharat / state

কান্নাকাটি, ধ্যান ও ছোটবেলার গল্প ! সাজা পাওয়ার পর সংশোধনাগারে সঞ্জয়ের সারাদিন - RG KAR RAPE AND MURDER CONVICT

আরজি কর-কাণ্ডে আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা পাওয়ার পর গতকাল রাত থেকে আজ সারাদিন সংশোধনাগারে কী কী করলেন সঞ্জয় রায় ? বিশেষ প্রতিবেদন ৷

ETV BHARAT
সাজা পাওয়ার পর সংশোধনাগারে সঞ্জয়ের সারাদিন (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 21, 2025, 7:35 PM IST

কলকাতা, 21 জানুয়ারি: আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা পাওয়ার পর থেকে আচার আচরণে বিস্তর ফারাক দেখা যাচ্ছে সঞ্জয় রায়ের ৷ গতকাল শিয়ালদা আদালত থেকে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে যাওয়ার পর রাতে নিশ্চিন্তের ঘুম, সকালে শরীর চর্চা, ধ্যান, শিবের মন্ত্রপাঠ তো ছিলই ৷ পাশাপাশি সংশোধনাগারের এক কর্মীর সঙ্গে সে ছেলেবেলার খোশ গল্পে মাতে বলে খবর ৷ তার সঙ্গে পরিবারের কেউ জেলে দেখা করতে না-আসায় সাফাই কর্মীর সামনে কান্নাকাটিও করে সঞ্জয় ৷

প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার সূত্রের খবর, গতকাল রাতে খাওয়া-দাওয়ার পর সারারাত ভালোভাবে ঘুমায় সঞ্জয় রায় । সূত্রের খবর, আজ ভোরে ঘুম থেকে উঠে সে শরীর চর্চা করে । পরে ভালো ভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে, সে শিব ঠাকুরের মন্ত্র পাঠ করে । পরে সকালের জল-খাবারের পর বেশ কয়েক ঘণ্টা সে ধ্যানে বসে বলে সংশোধনাগার সূত্রের খবর । পরে সেল পরিষ্কার করতে আসা এক কর্মীর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলে সঞ্জয় । সংশোধনাগার সূত্রের খবর, সঞ্জয় কীভাবে ছোট থেকে বড় হয়েছে এবং কী করে তার বাবা তাকে লেখাপড়া শিখিয়েছেন, সেই গল্প করতে শুরু করে আরজি করে চিকিৎসক ছাত্রীর হত্যাকারী ।

ETV BHARAT
সাজা পাওয়ার পর সংশোধনাগারে কান্নাকাটি, ধ্যান সঞ্জয়ের (নিজস্ব চিত্র)

শুধু তাই নয়, ছোটবেলার গল্প বলার সময় সঞ্জয়ের চোখ থেকে ঝরঝর করে জল পড়তে থাকে বলে সংশোধনাগার সূত্রের খবর ৷ সে সাফাই কর্মীকে বলতে থাকে যে, তার সবকিছু শেষ হয়ে গিয়েছে । তার কোনও মর্যাদাও নেই । সঞ্জয় কাঁদতে কাঁদতে বলে, সে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে তার পরিবারের কোনও সদস্য তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখেনি । এরপর এক কারারক্ষীর কাছে সঞ্জয় নিজের মনের ভাব প্রকাশ করতে চাইলে, সেই কারারক্ষীকে সেখান থেকে সরিয়ে দেয় প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ । কাউকে সামনে না-পেয়ে সেলে একটি চাদর জড়িয়ে দেওয়ালে হেলান দিয়ে বসে থাকতে দেখা যায় সঞ্জয়কে ।

এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের এক আধিকারিক বলেন, "সঞ্জয়ের উপর বিশেষ নজর রয়েছে । আর সে কখনও কখনও আমাদের কারারক্ষী থেকে শুরু করে সুইপারের সঙ্গে কথা বলতে চাইছে । আমরা সব দেখছি ।"

উল্লেখ্য, গত 9 আগস্ট আরজি কর হাসপাতালের চারতলার সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয় চিকিৎসক ছাত্রীর দেহ । পরে জানা যায়, তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে ৷ ঘটনার তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশ 24 ঘণ্টার মধ্যে তাদের এক সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করে । পরবর্তী সময়ে আদালতের নির্দেশে এই ঘটনার তদন্তভার চলে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে । এরপর দীর্ঘ আইনি জটিলতা পেরিয়ে প্রায় ছ'মাস পর গতকাল শিয়ালদা আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন ।

কলকাতা, 21 জানুয়ারি: আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা পাওয়ার পর থেকে আচার আচরণে বিস্তর ফারাক দেখা যাচ্ছে সঞ্জয় রায়ের ৷ গতকাল শিয়ালদা আদালত থেকে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে যাওয়ার পর রাতে নিশ্চিন্তের ঘুম, সকালে শরীর চর্চা, ধ্যান, শিবের মন্ত্রপাঠ তো ছিলই ৷ পাশাপাশি সংশোধনাগারের এক কর্মীর সঙ্গে সে ছেলেবেলার খোশ গল্পে মাতে বলে খবর ৷ তার সঙ্গে পরিবারের কেউ জেলে দেখা করতে না-আসায় সাফাই কর্মীর সামনে কান্নাকাটিও করে সঞ্জয় ৷

প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার সূত্রের খবর, গতকাল রাতে খাওয়া-দাওয়ার পর সারারাত ভালোভাবে ঘুমায় সঞ্জয় রায় । সূত্রের খবর, আজ ভোরে ঘুম থেকে উঠে সে শরীর চর্চা করে । পরে ভালো ভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে, সে শিব ঠাকুরের মন্ত্র পাঠ করে । পরে সকালের জল-খাবারের পর বেশ কয়েক ঘণ্টা সে ধ্যানে বসে বলে সংশোধনাগার সূত্রের খবর । পরে সেল পরিষ্কার করতে আসা এক কর্মীর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলে সঞ্জয় । সংশোধনাগার সূত্রের খবর, সঞ্জয় কীভাবে ছোট থেকে বড় হয়েছে এবং কী করে তার বাবা তাকে লেখাপড়া শিখিয়েছেন, সেই গল্প করতে শুরু করে আরজি করে চিকিৎসক ছাত্রীর হত্যাকারী ।

ETV BHARAT
সাজা পাওয়ার পর সংশোধনাগারে কান্নাকাটি, ধ্যান সঞ্জয়ের (নিজস্ব চিত্র)

শুধু তাই নয়, ছোটবেলার গল্প বলার সময় সঞ্জয়ের চোখ থেকে ঝরঝর করে জল পড়তে থাকে বলে সংশোধনাগার সূত্রের খবর ৷ সে সাফাই কর্মীকে বলতে থাকে যে, তার সবকিছু শেষ হয়ে গিয়েছে । তার কোনও মর্যাদাও নেই । সঞ্জয় কাঁদতে কাঁদতে বলে, সে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে তার পরিবারের কোনও সদস্য তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখেনি । এরপর এক কারারক্ষীর কাছে সঞ্জয় নিজের মনের ভাব প্রকাশ করতে চাইলে, সেই কারারক্ষীকে সেখান থেকে সরিয়ে দেয় প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ । কাউকে সামনে না-পেয়ে সেলে একটি চাদর জড়িয়ে দেওয়ালে হেলান দিয়ে বসে থাকতে দেখা যায় সঞ্জয়কে ।

এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের এক আধিকারিক বলেন, "সঞ্জয়ের উপর বিশেষ নজর রয়েছে । আর সে কখনও কখনও আমাদের কারারক্ষী থেকে শুরু করে সুইপারের সঙ্গে কথা বলতে চাইছে । আমরা সব দেখছি ।"

উল্লেখ্য, গত 9 আগস্ট আরজি কর হাসপাতালের চারতলার সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয় চিকিৎসক ছাত্রীর দেহ । পরে জানা যায়, তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে ৷ ঘটনার তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশ 24 ঘণ্টার মধ্যে তাদের এক সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করে । পরবর্তী সময়ে আদালতের নির্দেশে এই ঘটনার তদন্তভার চলে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে । এরপর দীর্ঘ আইনি জটিলতা পেরিয়ে প্রায় ছ'মাস পর গতকাল শিয়ালদা আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.