কলকাতা, 20 জানুয়ারি: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে প্রথমে ধর্ষণ, তারপর খুন ৷ প্রায় 6 মাস আগে, 9 অগস্টের নৃশংস ঘটনায় অনন্য প্রতিবাদ দেখেছে দেশ ৷ দোষীদের চরম থেকে চরমতম শাস্তির দাবিতে রাস্তায় নামে হাজার হাজার সাধারণ মানুষ ৷ শহর ও দেশ ছাড়িয়ে যা ছড়িয়ে পড়েছিল বিদেশেও ৷ দীর্ঘ অপেক্ষার পর ধৃত কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে শনিবার দোষী সাব্যস্ত করেছে শিয়ালদা আদালত ৷ আজ সাজা ঘোষণা ৷ এই আবহে সকলের মনে এখন একটাই প্রশ্ন, মৃত্যুদণ্ড নাকি যাবজ্জীবন !
সোমবার সঞ্জয়ের সাজা ঘোষণা করবেন শিয়ালদা আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস ৷ লালবাজার সূত্রে খবর, আদালতের বাইরে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে ৷ দায়িত্বে থাকছেন একজন আইপিএস আধিকারিক । আদালত চত্বরে আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কলকাতা পুলিশের র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স এবং হেভি রেডিওফ্ল্যাইং স্কোর্ডের পুলিশ কর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছে । সেই সঙ্গে, নিরাপত্তা দায়িত্বে রয়েছেন এন্টালি থানা, মুচিপাড়া থানা-সহ একাধিক থানার অফিসার ইনচার্জ এবং অতিরিক্ত অফিসার ইনচার্জ ৷
উল্লেখ্য, শনিবার আদালতের শুনানি পর্ব শেষে সঞ্জয় তার সাফাইয়ে গলার রুদ্রাক্ষর মালার প্রসঙ্গ তুলে ধরে । তার যুক্তি ছিল, এই ঘৃণ্য অপরাধের সঙ্গে সে যুক্ত থাকলে রুদ্রাক্ষের মালাটি ছিঁড়ে যেত বা পড়ে যেত । আদালত সূত্রে খবর, আজ সাজা ঘোষণার আগে বিচারক অনির্বাণ দাস সঞ্জয়ের কাছে এই রুদ্রাক্ষর প্রসঙ্গ সম্পর্কিত কিছু কথা শুনবেন।
9 অগস্টের সেই নৃশংস ঘটনা সামনে আসার 24 ঘণ্টার মধ্যেই সঞ্জয়কে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ ৷ মূলত সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখেই তাকে চিহ্নিত করা হয় ৷ এরপর সিবিআই তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয় ৷ তদন্তভার নেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ৷ ধৃত সঞ্জয় রায়কে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই ৷
মামলার চার্জশিটে সঞ্জয়কেই মূল অভিযুক্ত বলে উল্লেখ করা হয় ৷ অবশেষে কলকাতা পুলিশের সেই সিভিক ভলান্টিয়ারকেই দোষী সাব্যস্ত করে শিয়ালদা আদালত ৷ ভারতীয় ন্যায় সংহিতার 64 (ধর্ষণ) নম্বর ধারা, 66 (ধর্ষণের পর মৃত্যু) নম্বর ধারা এবং 103 (1) (খুন) নম্বর ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে সঞ্জয়কে।