কলকাতা, 15 অগস্ট: আরজি কর কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতিয়ার সঞ্জয় রায়ের ফোন। ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয়ের থেকে উদ্ধার হওয়া ফোনের বিষয় এবার তদন্ত করছেন সিবিআইয়ের সাইবার সেল । তদন্তকারীরা জানতে চাইছেন যে, ঘটনার দিন সঞ্জয়কে কোন কোন ব্যক্তি ফোন করেছিলেন ৷
পাশাপাশি, সঞ্জয়ের ফোনের কল লিস্ট চেক করে একাধিক নম্বর পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের দাবি, ফোনে রয়েছে কলকাতা পুলিশের বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী ও পুলিশ আধিকারিকদের ফোন নম্বর।
সঞ্জয়ের হোয়াটসঅ্যাপ ডিটেলস ঘেটে সিবিআই আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মীর সঙ্গে সঞ্জয়ের কথাবার্তা হতো। তবে কী কথাবার্তা হতো, সেইগুলি প্রকাশ্যে আনতে চাইছেন না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। আরজি কর কাণ্ডে সিবিআই জানতে চাইছে, সঞ্জয়ের সঙ্গে আরজি কর হাসপাতালের কোন কোন স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে পুলিশকর্মীর ভালো সম্পর্ক ছিল ৷
মূলত, সিবিআইয়ের সাইবার সেলের গোয়েন্দারা সঞ্জয়ের মোবাইল ফোন ঘেঁটে জানতে চাইছেন, ঘটনার দিন, তার আগের দিন ফোনের লোকেশন কী ছিল । সিবিআই মূলত, জানতে চাইছেন যে ঘটনার দিন কীভাবে সে হাসপাতালে ঢুকেছিল? কোন গেট দিয়ে সঞ্জয় ঢুকলো ? এছাড়াও, সঞ্জয় হাসপাতালে ঢুকে কাদের সঙ্গে প্রথম কথা বলেছিল ?
ইতিমধ্যেই, সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সে আরজ কর হাসপাতালের মোট আট জন পড়ুয়া সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হয়েছেন। এছাড়াও, সিজিও কমপ্লেক্সে আজই অ্যান্টি ক্রাইম ব্রাঞ্চে পৃথক ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে টালা থানার অফিসার ইনচার্জ-সহ আরজি কর হাসপাতালের মোট পাঁচজন চিকিৎসককে। সিবিআই সূত্রে খবর, তাদের প্রত্যেকের বয়ান রেকর্ড করা হচ্ছে।
সূত্রে খবর, সিবিআই আধিকারিকরা এই ঘটনায় কলকাতা পুলিশের তরফে গঠন করা তদন্ত কমিটির সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলতে চান। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা মূলত জানতে চাইছেন যে, প্রথম দফায় কীভাবে তাদের তদন্ত প্রক্রিয়া এগিয়েছে ৷ গত 9 অগস্ট আরজি কর হাসপাতালের চারতলার সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয় সেখানকার এক মহিলা পড়ুয়া চিকিৎসকের দেহ ।
ঘটনার পর তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় সঞ্জয় রায় নামে কলকাতা পুলিশের এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে। এর পরেই ঘটনা অন্য দিকে মোড় নেয়। অনেকেই দাবি করেন, এই অবরাধ একা সঞ্জয়ের পক্ষে করা সম্ভব নয় । আর কে কে এই ধর্ষণ-খুনে জড়িত, তাঁদের চিহ্নিত করে কঠোক শাস্তির দাবি তোলেন বিভিন্ন মহলের অসংখ্য মানুষ ৷