গার্ডেনরিচ, 20 মার্চ: ঘড়ির কাঁটা বলছে 58 ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে ৷ কিন্তু, এখনও পর্যন্ত গার্ডেনরিচে বহুতলের ধ্বংসস্তূপে উদ্ধারকাজ শেষ করা যায়নি ৷ পাঁচতলা বহুতলের ধ্বংসস্তূপে এখনও একজন আটকে রয়েছে বলে খবর ৷ হয়তো প্রাণহীন দেহ উদ্ধার করতে হবে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী বা এনডিআরএফ-কে ৷ তাও এত সময় কেন লাগছে ৷ এনডিআরএফ জানাচ্ছে, এত সরু গলির ভিতরে বহুতলের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে উদ্ধারকাজ চালাতে হিমশিম খাচ্ছে তারা ৷ এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি তারা আগে কখনও হয়নি ৷
এনডিআরএফ, দমকল ও কলকাতা পুলিশের উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা জানাচ্ছেন, এখনই তারা নিশ্চিত করে বলে পারছেন না, যে বহুতলের ধ্বংসস্তূপের নিচে কেউ আটকে রয়েছেন কিনা ৷ কারণ, ওই এলাকা এতটাই ঘিঞ্জি যে, দ্রুত ধ্বংসস্তূপ সরানো সম্ভব হচ্ছে না ৷ ফলে ধ্বংসাবশেষ একপাশে সরিয়ে খোঁজাখুজির কাজ চলছে ৷ গতকাল এনডিআরএফ স্নিফার ডগ নিয়ে এসেছিল উদ্ধারকাজের জন্য ৷ আজও সকাল থেকে বাহিনীর সদস্যরা ধ্বংসস্তূপের মধ্যে নেমেছেন, কেউ আটকে রয়েছেন কিনা জানতে ৷
কিন্তু, কেউ ভিতরে চাপা পড়ে থাকলে, তাঁর প্রাণে বাঁচার আশা করছে না এনডিআরএফের সদস্যরা ৷ অন্যদিকে গতকাল রাত থেকে কলকাতায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে ৷ উদ্ধার কাজে আরও সমস্যা হচ্ছে ৷ ধ্বংসস্তূপের ভিতরে জল ঢুকেছে ৷ সেই জলের মধ্যে কাজ করতে আরও সমস্যা হচ্ছে ৷ তার উপর গার্ডেনরিচ এলাকার আজহার মোল্লা বাগান লেনের ওই তিনফুট চওড়া রাস্তায় বড় গাড়ি দূর, ব্যাটারি চালিত ইলেকট্রিক হ্যান্ডকার্টও ভিতরে প্রবেশ করছে না ৷
ফলে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে থেকেই উদ্ধারকাজ চালাতে বাধ্য হচ্ছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও দমকল ৷ অন্যদিকে, কলকাতা পৌরনিগম জানিয়েছে, উদ্ধারকাজ শেষ হলে তারা বহুতলের ধ্বংসাবশেষ সরানোর কাজ করবে ৷ সেখানেও সমস্যা সেই আঁকাবাকা গলি ৷ ফলে কীভাবে বড় বড় কংক্রিটের পিলার ও স্ল্যাব বাইরে বের করা হবে, তার পরিকল্পনা আগে থেকেই শুরু করে দিয়েছে কেএমসি ৷ কংক্রিটের স্ল্যাবগুলিকে ছোট ছোট টুকরো করে বস্তায় ভরে বের করা হতে পারে ৷ সেক্ষেত্রে পুরো কাজ শেষ করতে পুরো এক বা দু’দিন সময় লাগতে পারে ৷
আরও পড়ুন: