জলপাইগুড়ি, 28 ফেব্রুয়ারি: আজ সকালে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বাসিন্দা ঝর্ণা খাতুনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় ৷ যে মৃত্যুকে কেন্দ্র করে হাসপাতালের মর্গে হাতাহাতিতে জড়ালেন মৃতের বাপেরবাড়ি ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা ৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ ৷ ঝর্ণা খাতুনের বাপের বাড়ি জামাই ওসমান আলির বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে ৷ পুলিশ অভিযুক্ত এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে ৷
জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের কাঁদোবাড়ির নামাজিপাড়ার বাসিন্দা ওসমান আলির স্ত্রী ঝর্ণা খাতুন (36) ৷ আজ সকালে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় ৷ খবর পেয়ে ঝর্ণার বাপের বাড়ির লোক ঘটনাস্থলে পৌঁছে জানতে পারেন, তাঁর দেহ জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ এরপর তাঁরা হাসপাতালে গেলে সেখানেও ঝর্ণার স্বামী বা পরিবারের কেউ ছিলেন না ৷ বদলে এক প্রতিবেশী সেখানে অপেক্ষা করছিলেন ৷
অভিযোগ, ওই প্রতিবেশী প্রথমে মৃত ঝর্ণা খাতুন সম্পর্কে আপত্তিজনক কথা বলতে শুরু করেন ৷ যা শুনের ঝর্ণার কাকা এবং বাপেরবাড়ির সদস্যরা রেগে যান ৷ ওই ব্যক্তিকে মারধর শুরু করেন তাঁরা ৷ ততক্ষণে ঝর্ণার স্বামী এবং বাকিরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান ৷ তাঁদের সঙ্গেও হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় ৷ হাসপাতাল চত্ত্বরে দু’পক্ষের এই হাতাহাতির জেরে শোরগোল পড়ে যায় ৷ পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে, পুলিশে খবর দেওয়া হয় ৷ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ৷
ঝর্ণার বাপের বাড়ির অভিযোগ, ওসমান আলির বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্ক ছিল কোচবিহারের এক মহিলার সঙ্গে ৷ যা নিয়ে প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হত ৷ তাঁরা বহুবার ওসমানকে বোঝানোর চেষ্টা করলেও, তিনি কারও কথা শোনেননি ৷ সেই কারণেই ওসমান ঝর্ণা খাতুনকে খুন করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে ৷ এনিয়ে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে ৷ পুলিশ ওসমান আলি এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে ৷
আরও পড়ুন: