কলকাতা, 1 ফেব্রুয়ারি: বুধবার শেষ হয়েছে 47তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা ৷ এ বছর অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে প্রায় 9 লক্ষ টাকার বই বিক্রি করল সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের মুখপত্র যুবশক্তি ৷ তেমনই রেকর্ড সংখ্যক বিক্রি হল ইনসাফ যাত্রার ডায়েরিও । বইমেলায় এত টাকার বিক্রিবাট্টায় খুশি বামেদের যুব নেতৃত্ব ।
ইনসাফ যাত্রায় রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ প্রান্ত দীর্ঘ পথ হেঁটেছিল ডিওয়াইএফআই । সেই ইনসাফ যাত্রা শেষে এ বছরের শুরুতেই ব্রিগেড সমাবেশ করেছিল সিপিএমের যুব সংগঠন । আর তার আগেই দীর্ঘ পথ চলা, সব অংশের মানুষের সঙ্গে কথা বলা, বাংলার শিক্ষিত বেকারদের থেকে কাজ না পাওয়ার যন্ত্রণা শোনা, বঞ্চিতদের বঞ্চনার কথা শোনা, এই সমস্ত অভিজ্ঞতাটাই নেতা থেকে কর্মীরা লিপিবদ্ধ করেছিল । যা বই আকারে প্রকাশিত হয় ইনসাফ যাত্রার ডায়েরি নামে । ব্রিগেডে এই বই রমরমিয়ে বিক্রি হয়েছিল । তবে বইমেলার তথ্য বলছে, নতুন প্রজন্মের কাছে বিশেষ করে বাম মনস্ক যুব প্রজন্মের কাছে আবেগে বিন্দুমাত্র ভাঁটা পড়েনি । বইমেলাতেও ব্যাপক বিক্রি হয়েছে ইনসাফ যাত্রার ডায়েরি ।
এবারের বইমেলায় ইনসাফ যাত্রার ডায়েরির প্রায় 15 হাজারের বেশি কপি বিক্রি হয়েছে । শুধু এই বই নয়, এছাড়াও বাম প্রগতিশীল পুস্তকেরও ভালো চাহিদা ছিল । গেঞ্জি থেকে কাপও বিক্রি হয়েছে । মানুষের ভিড়ে প্রতিদিন স্টল ছিল জমজমাট । চলতি বইমেলায় কত টাকার ব্যবসা হল সেই হিসেব অবশ্য মেলা শেষেই করে ফেলেছে বাম যুব নেতৃত্ব । জানিয়েছে, এই বইমেলায় তাদের স্টলের ব্যবসা হয়েছে 8 লক্ষ 64 হাজার 281 টাকা, যা গত বছরের তুলনায় কয়েক লক্ষ টাকা বেশি । শেষ দিন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সভাপতি মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় থেকে অন্যান্য নেতৃত্ব হাজির ছিলেন বুক স্টলে । তারা যুবদের প্রতি স্টলে এসে বই কেনার আহ্বান জানিয়েছিলেন । ফলে স্টল খোলা থেকে বন্ধ পর্যন্ত তিল ধরনের জায়গা ছিল না বলে বাম যুব নেতৃত্বের দাবি ।
এই প্রসঙ্গে যুবশক্তি'র সম্পাদক কলতান দাশগুপ্ত বলেন, "শুধুই টাকার অংকে রেকর্ড করতে পারা আনন্দের বিষয় নয় । এর মধ্যে দিয়ে আমরাযুব প্রজন্মকে অনেকটা আমাদের কাছে টানতে পারছি । ইনসাফ যাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু করে ব্রিগেড তারপর বইমেলা সেই ইঙ্গিত দিচ্ছে । তবে এখানেই সন্তুষ্ট থাকলে হবে না । যুবদের চাকরি-সহ নানা দাবি নিয়ে যে আমাদের আন্দোলন, সেটা চালিয়ে যেতে হবে । প্রত্যেক যুবকের কাছে পৌঁছনোর কাজ, আমাদের কথা তাদের কাছে বলার কাজ, নানাভাবে চালিয়ে যেতে হবে । রাজ্যের যুব প্রজন্মের মনে ছাপ ফেলতে পারছি, সেটাকে আরও বড় অংশে ছড়ানোই লক্ষ্য ।"
আরও পড়ুন: