কলকাতা, 15 অগস্ট: আরজি করে চিকিৎসক পড়ুয়া খুনের প্রতিবাদে রাত জাগলেন মেয়েরা ৷ রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্র মোমবাতি হাতে মিছিল, স্লোগান, গান, কবিতায় প্রতিবাদ জানাল নারী শক্তি ৷ শহর কলকাতা তো বটেই, রাত জাগল জলপাইগুড়ি থেকে মালদা ৷ শান্তিনিকেতন থেকে সোদপুর ৷ আর সব জায়গার ছবিটা প্রায় একই ৷ রাজনৈতিক দলের কোনও পতাকা নেই, সাধারণ গৃহবধূ থেকে সেলিব্রিটি 14 অগস্ট রাতে এক সারিতে হাঁটলেন সকলেই ৷ সকলেরই মুখে একটাই কথা, 'এই নৃশংশ খুনের বিচার চাই' ৷
বুধবার কলাকাত বিমানবন্দরের এক নম্বর গেটে চিকিৎসক পড়ুয়া খুনের বিচার চেয়ে মিছিল করেন সাধারণ মানুষ ৷ পরে পথসভাও করেন ৷ মহিলা চিকিৎসক খুনের প্রতিবাদে কলকাতা বিমানবন্দর এক নম্বর গেট থেকে মিছিল শুরু হয়ে আড়াই নম্বর গেট পর্যন্ত যায় ৷ মিছিলে কয়েক হাজার মহিলা, পুরুষ হাজির হয়েছিলেন ৷ হাতে মোমবাতি জ্বালিয়ে এবং মোবাইল ফোনের লাইট জ্বালিয়ে প্রতিবাদে মুখর হয়েছিলেন তারা। প্রায় চার ঘণ্টা পর্যন্ত চলে এই মিছিল সমাবেশ।
একই ছবি দেখা গিয়েছে দুর্গাপুরেও ৷ দেশের স্বাধীনতা দিবসে মধ্যরাতেই দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে রাত পাহারা সমাজের সর্বস্তরের আবাল-বৃদ্ধ-বনিতাদের। 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস' স্লোগানে শহরজুড়ে মধ্যরাতে কলতান। হাতে মোমবাতি, প্ল্যাকার্ড আর উচ্চস্বরে স্লোগানে দাবি প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক। বন্ধ হোক দেশজুড়ে নারী নির্যাতনের ঘটনা ৷ মধ্যরাতে একই ছবি ধরা পড়েছে মালদা শহরেও ৷
নারীদের এই 'রাত দখল' কর্মসূচিতে পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে পুরুষদেরও ৷ তাঁরাও এই আন্দোলনে সামিল হয়ে আরজি করের ঘটনার 'জাস্টিস' চেয়েছেন ৷ আরজি করের চিকিৎসক পড়ুয়ার মৃত্য়ুতে রাজ্য তথা দেশ, সর্বত্রই আলোড়োন সৃষ্টি হয়েছে ৷ বিশেষ করে নির্যাতিতার উপর হওয়া নৃশংস খুনের ঘটনা বারাসতবাসীর মনে 2013 সালে কামদুনির স্মৃতি ফিরিয়ে দিয়েছে ৷ দু’টি ক্ষেত্রেই নির্যাতিতা উত্তর 24 পরগনার বাসিন্দা ৷ নির্যাতিতার আর্তনাদ ও স্থানীয়দের প্রতিবাদের ভাষা প্রতিক্ষণে বাতাসে ধ্বনিত হয় ৷