ETV Bharat / state

138 বছর আগে লাখ লাখ খরচে তৈরি হয়েছিল মাহেশের রথ, রইল ইতিহাস - Ratha Yatra of Mahesh 2024

Ratha Yatra 2024: একসময় হুগলির মাহেশে কাঠের রথেই যাত্রা করতেন মহাপ্রভু জগন্নাথ, বলরাম ও তাঁর বোন সুভদ্রা ৷ সেই রথ নষ্ট হয়ে গেলে প্রতিবছর নতুন কাঠের রথ তৈরি করতে হত ৷ যা বেশ ব্যয়সাপেক্ষ ছিল ৷ তখন হুগলির দেওয়ান লোহার রথ তৈরি করে দেন ৷ সেই রথ আজও চলছে ৷ কীভাবে তৈরি হল, কেই বা দেখভাল করেন এই রথের ?

Mahesh Ratha Yatra 2024
হুগলির মাহেশের রথ (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jul 6, 2024, 10:04 PM IST

শ্রীরামপুর, 6 জুলাই: পুরীর মতো হুগলির মাহেশে ভগবান জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা রথে চড়ে মাসির বাড়ি যাবেন ৷ মাহেশে দেব-দেবীদের এই রথ একশো বছরেরও বেশি প্রাচীন ৷ একসময় কাঠে রথে চড়েই তাঁরা যাত্রা করতেন ৷ তবে প্রতিবছর সেই রথ কোনও না কোনও কারণে নষ্ট হয়ে যেত ৷ তাই মাহেশে জগন্নাথ, বলরাম ও দেবী সুভদ্রার জন্য বিশেষ লোহার রথ তৈরি করে দেন তৎকালীন হুগলির দেওয়ান কৃষ্ণচন্দ্র বসু ৷ রইল সেই রথের ইতিহাস ৷

মাহেশের রথ তৈরি হয়েছিল 138 বছর আগে, রইল তার ইতিহাস (ইটিভি ভারত)

মাহেশের এই রথ নিয়ে জগন্নাথ মন্দিরের সেবাইত পিয়াল অধিকারী বলেন, "আমাদের পূর্বপুরুষ কমলাকার পিপলাইয়ের আমলে বৈদ্যবাটি নিবাসী এক মোদক পরিবার কাঠের রথ বানিয়ে দিয়েছিল ৷ এরপর আরও চারটি কাঠের রথ তৈরি হয়েছিল ৷ কিন্তু কাঠের রথগুলি আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যেত ৷ আর নয়তো রথ তৈরি হওয়ার সময় বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা আত্মহত্যা করতেন ৷ এতে স্বর্গ লাভ হবে ভেবে ৷ এই ভাবনা থেকেই তাঁরা এই কাজ করতেন ৷ এদিকে তখনকার দিনে তো রথের কাঠ শোধন করা যেত না ৷ সুতরাং নতুন করে ফের কাঠের রথ তৈরি করতে হত ৷ সেটা ব্যয় সাপেক্ষ ব্যাপার ছিল ৷"

মাহেশের এই বর্তমান রথটি তৈরি হয়েছিল আজ থেকে 138 বছর আগে ৷ হুগলির দেওয়ান কৃষ্ণচন্দ্র বসু, যাঁর পরিবার এখন শ্যামবাজার বসু পরিবার নামে পরিচিত, তিনি মাহেশের এই রথটি তৈরির ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন, জানালেন সেবাইত পিয়াল ৷

এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, "অতীতে মাহেশ থেকে কাঠের রথ যেত বৈদ্যবাটির চাতরাতে ৷ ওড়িশার পুরীর অনুকরণে রথ তৈরি হত ৷ আগে মাহেশে মাসির বাড়িতে হোগলা পাতার ছাউনি করে ছ'দিন ধরে জগন্নাথ মহাপ্রভুর পুজো হত ৷ বর্তমানে যেখানে মাসির বাড়ি রয়েছে, তাকে কুঞ্জবাটি বলা হয় ৷ আজও রথের দিন আমাদের হরি হরি বোল বলার সঙ্গে সঙ্গে রথ টানের প্রস্তুতি শুরু হয় ৷ বসু পরিবারের তরফে আজও রথের উপর দুই দিকে হুইসেল বাজানোর লোক থাকে ৷" মাহেশের ঐতিহ্যবাহী রথযাত্রা শুরুর আগে পুলিশের তরফেও রথের দু'দিকে ব্ল্যাঙ্ক ফায়ার করা হয় ৷ তারপরই হয় রথের টান, জানালেন মাহেশের জগন্নাথ মন্দিরের সেবাইত ৷

জানা যায়, 1885 সালে মার্টিন বার্ন কোম্পানিকে দিয়ে এই রথ তৈরি করা হয় ৷ তবে কালের নিয়মে রোদ, ঝড়, জলে এই রথও জীর্ণ, ভঙ্গুর হয়ে পড়েছিল ৷ তাই প্রতিবছর রথ মেরামতির জন্য শ্রমিকের প্রয়োজন ৷ এই অবস্থায় প্রায় 42 বছর ধরে বিশ্বাস পরিবারকে এই রথ মেরামতির দায়িত্ব দিয়ে আসছে শ্যামবাজারের বসু পরিবার ৷

মাহেশের রথের কেয়ারটেকার বিশ্বাস পরিবারের রাজু বিশ্বাস ও তাঁর ভাই ৷ তাঁরা বংশ পরম্পরায় এই কাজ করে আসছেন ৷ তিন পুরুষ ধরে এখনও রথের লোহার চাকা থেকে কাঠের পাটাতন-সহ গোটা রথের রঙ থেকে নানাবিধ কাজ করেন তাঁরা ৷ রথের একমাস আগে থেকেই চলে এই রথ সারাইয়ের কাজকর্ম ৷ 25 জন কর্মী রথ মেরামতি ও তাকে নতুন করে সাজানোর কাজে লেগে পড়েন ৷ প্রতিবছর মাহেশের রথ সংস্কারের নির্দেশ বিশ্বাস পরিবারকে দেয় শ্যামবাজারের বসু পরিবার ৷

বসুপরিবারের তত্ত্বাবধানে এই পরিবার বংশ পরম্পরায় এই কাজ করে চলেছেন ৷ 1885 সালে শ্যামবাজারের কৃষ্ণচন্দ্র বসু বর্তমান লোহার রথটি তৈরি করিয়ে দিয়েছিলেন ৷ তখন এর জন্য খরচ হয়েছিল 20 লক্ষ টাকা ৷ মাহেশের রথের উচ্চতা 50 ফুট ৷ 12টি লোহার চাকা রয়েছে ৷ চারটি তল বিশিষ্ট এই রথে 9টি চূড়া রয়েছে ৷ মূল কাঠামোটি লোহার তৈরি ৷ তার গায়ে কাঠের পাটাতন ও টিন দিয়ে মোড়া ৷

মাহেশের রথের বর্তমান কেয়ারটেকার রাজু বিশ্বাস ৷ প্রতি বছর রথের এক মাস আগে বসু পরিবারের অনুমতি নিয়ে রথের মেরামতির কাজ শুরু করেন । তিনি বলেন, "বসু পরিবার 42 বছর ধরে এই রথ মেরামতির দায়িত্ব আমাদের দিয়ে আসছে ৷ মাহেশের রথের মেরামতির জন্য একমাস ধরে 25 জন শ্রমিক নিয়ে একটানা কাজ চলছে ৷ প্রত্যেকের আলাদা আলাদা কাজ ভাগ করে দেওয়া হয়েছে ৷ কেউ লোহার কাঠামো ঠিক করবে, কেউ কাঠের পাটাতন মেরামতি করবে, আবার কেউ রং করবে ৷"

রথের গায়ে শ্রীকৃষ্ণের নানা অবতারের ছবি আঁকা আছে ৷ রথের একদম উপর তলার সিংহাসনে থাকেন মহাপ্রভু জগন্নাথ, বলরাম ও তাঁদের বোন দেবী সুভদ্রা ৷ তৃতীয় তলে কৃষ্ণ লীলার চিত্র আঁকা ৷ একদম নীচের তলায় শ্রীচৈতন্যের লীলার ছবি রয়েছে ৷ রথের ওজন 125 টন এবং এই রথের কোনও ব্রেক নেই ৷ 50 ফুটের কাঠের বিম দিয়েই ব্রেক করা হয় ৷

এছাড়া এই রথের দিক পরিবর্তন করতে চাকায় দেওয়া হয় ঝামা ইট ৷ হাজার হাজার ভক্ত রথের দড়িতে টান দেন ৷ 100 গজের দু'টি 2 ইঞ্চি মোটা পাটের দড়ি রয়েছে ৷ এছাড়াও আপদকালীন পরিস্থিতিতে আরেকটি দড়ি ব্যবহার করা হয় ৷ আর সেই রথ চালনা করেন শ্রীরামপুরের সুশান্ত বিশ্বাস ৷ 18 জন যুবক নিয়ে এই রথ চালানো হয় ৷ তাঁরাও বংশ পরম্পরায় এই কাজ করে আসছেন।

এছাড়া রথের সঙ্গে দু'টি তামার সাদা ও নীল রঙের ঘোড়া রয়েছে ৷ 5 ফুট 4 ইঞ্চির একজন সারথী রয়েছেন ৷ রথের সামনের দিকে আছে দুটি রাজ হংস ৷ এই রথের ভিতরে দিয়ে উপরে ওঠার জন্য লোহার সিঁড়ি আছে ৷ রথের দায়িত্বে থাকা পুরোহিত ও পার্ষদরা রথে উঠে দড়ি দিয়ে রথে টান দেন ।লক্ষাধিক ভক্ত এই রথের দড়িতে টান দেওয়ার জন্য হাজির হন ৷ নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে এই রথযাত্রা দীর্ঘ দিনধরেই হয়ে আসছে ৷

শ্রীরামপুর, 6 জুলাই: পুরীর মতো হুগলির মাহেশে ভগবান জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা রথে চড়ে মাসির বাড়ি যাবেন ৷ মাহেশে দেব-দেবীদের এই রথ একশো বছরেরও বেশি প্রাচীন ৷ একসময় কাঠে রথে চড়েই তাঁরা যাত্রা করতেন ৷ তবে প্রতিবছর সেই রথ কোনও না কোনও কারণে নষ্ট হয়ে যেত ৷ তাই মাহেশে জগন্নাথ, বলরাম ও দেবী সুভদ্রার জন্য বিশেষ লোহার রথ তৈরি করে দেন তৎকালীন হুগলির দেওয়ান কৃষ্ণচন্দ্র বসু ৷ রইল সেই রথের ইতিহাস ৷

মাহেশের রথ তৈরি হয়েছিল 138 বছর আগে, রইল তার ইতিহাস (ইটিভি ভারত)

মাহেশের এই রথ নিয়ে জগন্নাথ মন্দিরের সেবাইত পিয়াল অধিকারী বলেন, "আমাদের পূর্বপুরুষ কমলাকার পিপলাইয়ের আমলে বৈদ্যবাটি নিবাসী এক মোদক পরিবার কাঠের রথ বানিয়ে দিয়েছিল ৷ এরপর আরও চারটি কাঠের রথ তৈরি হয়েছিল ৷ কিন্তু কাঠের রথগুলি আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যেত ৷ আর নয়তো রথ তৈরি হওয়ার সময় বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা আত্মহত্যা করতেন ৷ এতে স্বর্গ লাভ হবে ভেবে ৷ এই ভাবনা থেকেই তাঁরা এই কাজ করতেন ৷ এদিকে তখনকার দিনে তো রথের কাঠ শোধন করা যেত না ৷ সুতরাং নতুন করে ফের কাঠের রথ তৈরি করতে হত ৷ সেটা ব্যয় সাপেক্ষ ব্যাপার ছিল ৷"

মাহেশের এই বর্তমান রথটি তৈরি হয়েছিল আজ থেকে 138 বছর আগে ৷ হুগলির দেওয়ান কৃষ্ণচন্দ্র বসু, যাঁর পরিবার এখন শ্যামবাজার বসু পরিবার নামে পরিচিত, তিনি মাহেশের এই রথটি তৈরির ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন, জানালেন সেবাইত পিয়াল ৷

এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, "অতীতে মাহেশ থেকে কাঠের রথ যেত বৈদ্যবাটির চাতরাতে ৷ ওড়িশার পুরীর অনুকরণে রথ তৈরি হত ৷ আগে মাহেশে মাসির বাড়িতে হোগলা পাতার ছাউনি করে ছ'দিন ধরে জগন্নাথ মহাপ্রভুর পুজো হত ৷ বর্তমানে যেখানে মাসির বাড়ি রয়েছে, তাকে কুঞ্জবাটি বলা হয় ৷ আজও রথের দিন আমাদের হরি হরি বোল বলার সঙ্গে সঙ্গে রথ টানের প্রস্তুতি শুরু হয় ৷ বসু পরিবারের তরফে আজও রথের উপর দুই দিকে হুইসেল বাজানোর লোক থাকে ৷" মাহেশের ঐতিহ্যবাহী রথযাত্রা শুরুর আগে পুলিশের তরফেও রথের দু'দিকে ব্ল্যাঙ্ক ফায়ার করা হয় ৷ তারপরই হয় রথের টান, জানালেন মাহেশের জগন্নাথ মন্দিরের সেবাইত ৷

জানা যায়, 1885 সালে মার্টিন বার্ন কোম্পানিকে দিয়ে এই রথ তৈরি করা হয় ৷ তবে কালের নিয়মে রোদ, ঝড়, জলে এই রথও জীর্ণ, ভঙ্গুর হয়ে পড়েছিল ৷ তাই প্রতিবছর রথ মেরামতির জন্য শ্রমিকের প্রয়োজন ৷ এই অবস্থায় প্রায় 42 বছর ধরে বিশ্বাস পরিবারকে এই রথ মেরামতির দায়িত্ব দিয়ে আসছে শ্যামবাজারের বসু পরিবার ৷

মাহেশের রথের কেয়ারটেকার বিশ্বাস পরিবারের রাজু বিশ্বাস ও তাঁর ভাই ৷ তাঁরা বংশ পরম্পরায় এই কাজ করে আসছেন ৷ তিন পুরুষ ধরে এখনও রথের লোহার চাকা থেকে কাঠের পাটাতন-সহ গোটা রথের রঙ থেকে নানাবিধ কাজ করেন তাঁরা ৷ রথের একমাস আগে থেকেই চলে এই রথ সারাইয়ের কাজকর্ম ৷ 25 জন কর্মী রথ মেরামতি ও তাকে নতুন করে সাজানোর কাজে লেগে পড়েন ৷ প্রতিবছর মাহেশের রথ সংস্কারের নির্দেশ বিশ্বাস পরিবারকে দেয় শ্যামবাজারের বসু পরিবার ৷

বসুপরিবারের তত্ত্বাবধানে এই পরিবার বংশ পরম্পরায় এই কাজ করে চলেছেন ৷ 1885 সালে শ্যামবাজারের কৃষ্ণচন্দ্র বসু বর্তমান লোহার রথটি তৈরি করিয়ে দিয়েছিলেন ৷ তখন এর জন্য খরচ হয়েছিল 20 লক্ষ টাকা ৷ মাহেশের রথের উচ্চতা 50 ফুট ৷ 12টি লোহার চাকা রয়েছে ৷ চারটি তল বিশিষ্ট এই রথে 9টি চূড়া রয়েছে ৷ মূল কাঠামোটি লোহার তৈরি ৷ তার গায়ে কাঠের পাটাতন ও টিন দিয়ে মোড়া ৷

মাহেশের রথের বর্তমান কেয়ারটেকার রাজু বিশ্বাস ৷ প্রতি বছর রথের এক মাস আগে বসু পরিবারের অনুমতি নিয়ে রথের মেরামতির কাজ শুরু করেন । তিনি বলেন, "বসু পরিবার 42 বছর ধরে এই রথ মেরামতির দায়িত্ব আমাদের দিয়ে আসছে ৷ মাহেশের রথের মেরামতির জন্য একমাস ধরে 25 জন শ্রমিক নিয়ে একটানা কাজ চলছে ৷ প্রত্যেকের আলাদা আলাদা কাজ ভাগ করে দেওয়া হয়েছে ৷ কেউ লোহার কাঠামো ঠিক করবে, কেউ কাঠের পাটাতন মেরামতি করবে, আবার কেউ রং করবে ৷"

রথের গায়ে শ্রীকৃষ্ণের নানা অবতারের ছবি আঁকা আছে ৷ রথের একদম উপর তলার সিংহাসনে থাকেন মহাপ্রভু জগন্নাথ, বলরাম ও তাঁদের বোন দেবী সুভদ্রা ৷ তৃতীয় তলে কৃষ্ণ লীলার চিত্র আঁকা ৷ একদম নীচের তলায় শ্রীচৈতন্যের লীলার ছবি রয়েছে ৷ রথের ওজন 125 টন এবং এই রথের কোনও ব্রেক নেই ৷ 50 ফুটের কাঠের বিম দিয়েই ব্রেক করা হয় ৷

এছাড়া এই রথের দিক পরিবর্তন করতে চাকায় দেওয়া হয় ঝামা ইট ৷ হাজার হাজার ভক্ত রথের দড়িতে টান দেন ৷ 100 গজের দু'টি 2 ইঞ্চি মোটা পাটের দড়ি রয়েছে ৷ এছাড়াও আপদকালীন পরিস্থিতিতে আরেকটি দড়ি ব্যবহার করা হয় ৷ আর সেই রথ চালনা করেন শ্রীরামপুরের সুশান্ত বিশ্বাস ৷ 18 জন যুবক নিয়ে এই রথ চালানো হয় ৷ তাঁরাও বংশ পরম্পরায় এই কাজ করে আসছেন।

এছাড়া রথের সঙ্গে দু'টি তামার সাদা ও নীল রঙের ঘোড়া রয়েছে ৷ 5 ফুট 4 ইঞ্চির একজন সারথী রয়েছেন ৷ রথের সামনের দিকে আছে দুটি রাজ হংস ৷ এই রথের ভিতরে দিয়ে উপরে ওঠার জন্য লোহার সিঁড়ি আছে ৷ রথের দায়িত্বে থাকা পুরোহিত ও পার্ষদরা রথে উঠে দড়ি দিয়ে রথে টান দেন ।লক্ষাধিক ভক্ত এই রথের দড়িতে টান দেওয়ার জন্য হাজির হন ৷ নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে এই রথযাত্রা দীর্ঘ দিনধরেই হয়ে আসছে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.