মেদিনীপুর, 7 জুলাই: রথযাত্রার রশিতে টান দিয়ে মেদিনীপুরবাসীর মঙ্গলকামনা করলেন তৃণমূল সাংসদ জুন মালিয়া ৷ সংসদে গিয়ে এবার রেল কলোনির সমস্যা নিয়ে সরব হবেন বলে জানান নবনির্বাচিত সাংসদ ৷ রবিবার মেদিনীপুরের রথযাত্রার উদ্বোধনে এসে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ অভিনেত্রী তথা সাংসদ জুন ৷
প্রতিবছরের মতো এই বছরও মেদিনীপুর শহরে জগন্নাথ মন্দিরে শ্রীশ্রীজগন্নাথদেব জিউর রথযাত্রা উদযাপিত হয়েছে ৷ কয়েকদিন আগেই স্নানযাত্রা অনুষ্ঠিত হয় মন্দির প্রাঙ্গণে। এদিন সাংসদের হাত ধরে রথযাত্রার নগর পরিক্রমা শুরু হয় জগন্নাথ মন্দির প্রাঙ্গণ থেকে ৷ মূলত এই দিন নির্দিষ্ট কর্মসূচি অনুযায়ী নিয়ম রীতি মেনেই রথযাত্রার উদ্বোধন হয় ৷
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জুন বলেন, "মেদিনীপুরের গণদেবতা আমায় আশীর্বাদ করেছে, তাই আমি বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে সংসদে প্রবেশ করেছি ৷ রথযাত্রা উৎসবে জগন্নাথ দেবের কাছে আশীর্বাদ চাইলাম। যেন মেদিনীপুরবাসীর সমস্ত সমস্যার কথা সংসদে তুলে ধরতে পারি। আমি প্রথমে রেলের কলোনি সমস্যা নিয়েই পার্লামেন্টে সরব হতে চলেছি ৷ কারণ রেলের কলোনি নিয়ে ব্যাপক সমস্যায় রয়েছে খড়গপুরের রেলের মানুষজন।
প্রসঙ্গত, রথযাত্রার দিক নির্দেশ করা হয়েছে জগন্নাথ মন্দির থেকে। এরপর স্কুল বাজার, বটতলাচক কেরানিতলা ক্ষুদিরাম স্ট্যাচুতে পৌঁছানোর পর সেখানে ঢাকঢোল পিটিয়ে আতশবাজি প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে আরতি হবে। এরপর ওল্ড এলআইসি মোড়, রাজাবাজার গোলকুয়াচক, ছোটবাজার, স্কুলবাজার হয়ে নতুন বাজারে মাসির বাড়িতে পৌঁছবেন মহাপ্রভু জগন্নাথদেব, বোন সুভদ্রা ও দাদা বলরাম ৷ এরপর 8 জুলাই পর্যন্ত বিশ্রামে থাকবেন দেবতা ।
এরপর 9 জুলাই মঙ্গলবার থেকে শুরু হবে প্রভুর বেশ ধারন। মেদিনীপুর শহরের নতুন বাজারে মাসি বাড়িতে একে একে প্রভু নারায়ণ বেশ, রাখাল রাজা বেশ, রাজ বেশ, বামন অবতার বেশ, রাম রাজা বেশ অবশেষে 14 জুলাই রবিবার কল্কি অবতার বেশ ধারণ করলে শেষ হবে বেশ অনুষ্ঠান। এরপর 15 জুলাই সোমবার বিকেল পাঁচটার সময় মাসি বাড়ি থেকে পুনরায় বিপরীত দিকে যাত্রা শুরু হবে প্রভু জগন্নাথ দেবের। তবে মাসির বাড়ি থেকে জগন্নাথদেব যাওয়ার সময় উলটো পথে যাবেন ৷ মেদিনীপুর কলেজের সামনে পঞ্চুর চকে আরতি হবে এক প্রস্থ ৷ এরপর তিনি নিজের গৃহে প্রবেশ করবেন।