কলকাতা, 20 এপ্রিল: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী যে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের পদ শূন্য রয়েছে, সেখানে 6 জন অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আচার্য সিভি আনন্দ বোস ৷ সেই অনুযায়ী রাজ্য সরকারের প্রস্তাবিত প্রার্থীদের রাজভবনে ডেকে আলোচনা শুরু হয়েছে ৷ রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছে, শনিবারের পর সোমবার আরও কয়েকজন অন্তর্বতী উপাচার্য পদপ্রার্থীকে ডাকা হবে ৷
উল্লেখ্য, শনিবার রাজ্য সরকারের প্রস্তাবিত 8 জন প্রার্থীকে রাজভবনে জন্য ডাকা হয়েছিল ৷ সেখানে প্রাক্তন যেসব উপাচার্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ ছিল, তা খতিয়ে দেখা হয় ৷ তবে, শনিবার রাজভবনে হওয়া আলোচনায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস নিজে উপস্থিত ছিলেন না ৷ যা নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক ৷ রাজভবনের বিরুদ্ধে 'অসম্মানের' অভিযোগ তোলা হয়েছে ৷ তারপরেও আগামিকাল অর্থাৎ, সোমবার ফের কয়েকজনকে রাজভবনে তলব করা হবে বলে সূত্রের দাবি ৷ কারণ, শনিবারের আলোচনায় অনেকেই উপস্থিত ছিলেন ৷ কেউ কেউ আবার অন্তর্বর্তীকালীর উপাচার্য হতে রাজি হননি ৷
রাজভবন সূত্রের দাবি, "রাজভবনে কয়েক জনকে ডাকা হয়েছিল ৷ তাঁদের মধ্যে 3 জন আলোচনায় আসেননি ৷ আর যে তিনজন অংশ নিয়েছিলেন, তাঁরা তাঁদের পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন ৷ তবে, তাঁরা ওইসব বিশ্ববিদ্যালয়ে আগে থেকেই অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হিসেবে কাজ করেছেন ৷ যে কারণে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে ৷ অন্যদিকে, দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য পদ শূন্য ৷ সেখানে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হতে দু’জন ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন ৷ তাই, সরকারের তরফে প্রস্তাবিত আরও কিছু প্রার্থীকে সোমবার আলোচনার জন্য ডাকা হবে ৷"
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে রাজ্যের পাঠানো 31টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্ভাব্য উপাচার্যদের নামের তালিকা থেকে আচার্য 6 জনকে নিয়োগ করতে রাজি হয়েছেন ৷ পরবর্তীতে গত 18 এপ্রিল কেন্দ্রের অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটরামানি কলকাতায় আসেন ৷ তিনি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন ৷ এর আগের বৈঠকের রিপোর্ট গত 16 এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে রিপোর্ট পেশ করা হয়েছিল ৷ তারপরেই রাজ্যপালের সঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেলের এই বৈঠক হয়েছিল ৷ যদিও, সে সংক্রান্ত কোনও তথ্য রাজভবনের তরফে জানানো হয়নি ৷
আরও পড়ুন: