বহরমপুর, 28 অগস্ট: বেসরকারি এক হাসপাতাল কর্মীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল বনধ সমর্থকদের বিরুদ্ধে । বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে লালগোলা-শিয়ালদা শাখার মুর্শিদাবাদ স্টেশনের ৷ পরে রেল পুলিশ এসে বনধ সমর্থকদের হাত থেকে ওই যুবককে উদ্ধার করে । স্থানীয় এক বাসিন্দা পরে যুবককে হাসপাতালে নিয়ে যায় ৷
জানা গিয়েছে, আক্রান্ত যুবকের বাড়ি জিয়াগঞ্জ । তাঁর অপরাধ, তাঁকে কাজে যেতে দেওয়া হচ্ছে না বলে বনধ সমর্থকদের কাছে একদিনের বেতন হিসাবে ৫০০ টাকা দাবি করেন তিনি । আর সেই দাবির প্রেক্ষিতেই তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ৷
বুধবার সকাল থেকেই বিজেপির ডাকা 12 ঘণ্টা বাংলা বনধের মিশ্র প্রভাব পড়ে মুর্শিদাবাদে ৷ বহরমপুর কোর্ট স্টেশন, মুর্শিদাবাদ স্টেশন, জিয়াগঞ্জ স্টেশনে বনধ সমর্থকরা পৃথক পৃথকভাবে রেল রোকো কর্মসূচি নেন ৷ মুর্শিদাবাদ স্টেশনের যাত্রীরা জানান, এদিন সকালে মুর্শিদাবাদ স্টেশনে বিজেপি বিধায়ক গৌরিশঙ্কর ঘোষের নেতৃত্বে রেল অবরোধ করেন দলের কর্মী-সমর্থকরা ৷ শিয়ালদাগামী মেমু আসতেই অবরোধকারীরা লাইনে দাঁড়িয়ে ট্রেন আটকান ।
সেই সময় নির্যাতিত যুবক ট্রেন থেকে নেমে বনধ সমর্থকদের বাধা দিতে যান । শুরু হয় বচসা । যুবক বিক্ষোভকারীদের বলেন, "আপনাদের জন্য কাজে যেতে পারছি না । বিনিময়ে পাঁচশো টাকা দেন ।" সেই কথা শুনে বিজেপি সমর্থকরা তাঁকে ঘিরে বেধড়ক মারধর শুরু করে বলে অভিযোগ । এরপর রেল পুলিশ গিয়ে সেই যুবককে মারমুখী বিজেপি সমর্থকদের হাত থেকে রক্ষা করেন ।
এদিকে, জেলায় বিজেপির ডাকা বনধের মিশ্র প্রভাব পড়েছে ৷ স্বাভাবিক রয়েছে যান চলাচল ৷ খোলা রয়েছে দোকান-বাজারও ৷ সরকারি বাসের সঙ্গে কিছু বেসরকারি বাসও পথে নেমেছে ৷
অন্যদিকে, পুলিশের সঙ্গে বনধ সমর্থকদের খণ্ডযুদ্ধে উত্তাল হয়ে ওঠে জেলা প্রশাসনিক ভবন । বনধ সমর্থকদের টেনে হিঁচড়ে গাড়িতে তোলে পুলিশ । জেলা বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী অনামিকা ঘোষ পুলিশের গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন । মহিলা পুলিশ কর্মীরা তাঁকে কার্যত চ্যাঙদোলা করে গাড়িতে তোলেন । বিশৃঙ্খলা তৈরি করার অপরাধে জেলা বিজেপি সভাপতি শাখারভ সরকার, সাধারণ সম্পাদক লালটু দাস, অনামিকা ঘোষ-সহ 17 জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর ৷