চুঁচুড়া, 5 মে: ধোঁয়া, দই, ঘুগনি নিয়ে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিম ভোটের আগে ছিল অন্যতম চর্চার বিষয় ৷ সেই মিমই তাঁকে আরও বেশি করে পাবলিসিটি এনে দিয়েছে বলে মনে করেন হুগলির বিজয়ী তৃণমূল প্রার্থী ৷ সে জন্য যাঁরা মিম করেছেন, তাঁদের ধন্যবাদ জানান তিনি ৷ রচনা জানিয়ে দেন, এ বার তাঁর কাজ করার পালা ৷ আর সেই কারণে হুগলিতেই আগামী দিনে নিজের দ্বিতীয় ঠিকানা করার ইঙ্গিত দিলেন রচনা ৷ হুগলি লোকসভা আসনে জয়ের পর রসিকতার সুরে তিনি বলেন, তাঁর প্রতিপক্ষ বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায়কে তিনি দইয়ের হাঁড়ি পাঠাবেন ৷
ভোটে জেতার পর বুধবার চুঁচুড়ার ওলাইচণ্ডী তলা মন্দিরে গিয়ে প্রণাম করলেন হুগলির নবনির্বাচিত সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় । রচনার শাশুড়ি দিনকয়েক আগেই প্রয়াত হয়েছেন ৷ ফলে অশৌচ চলায় এ দিন তিনি পুজো দিতে পারেননি । হুগলি লোকসভা কেন্দ্র থেকে রচনা 76 হাজার 853 ভোটে জিতেছেন ৷ যাঁরা তাঁকে ভোট দিয়েছেন তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন দিদি নাম্বার ওয়ান । আর যাঁরা ভোট দেননি, তাঁদের জন্য আরও বেশি করে কাজ করে আগামী নির্বাচনে তাঁদের ভোটও নিশ্চিত করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি ।
তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর উপর আস্থা রেখে তাঁর আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছিলেন বলে এ দিন জানিয়েছেন হুগলির বিজয়ী প্রার্থী ৷ তাঁকে প্রার্থী করার পর তাঁর নানা মন্তব্য নিয়ে তাঁকে নানা সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে ৷ ভোটের প্রচার পর্বে তাঁকে নিয়ে তৈরি হয়েছে একাধিক মিম । রচনার কথায়, "যারা আমাকে নিয়ে মিম করেছিল তাদের ধন্যবাদ । কারণ অনেক পাবলিসিটি হয়েছিল মিম করার জন্য । আমার এবার কাজ দেখানোর পালা ৷ কাজের গুরুত্ব অনুযায়ী কাজ শুরু করব । হুগলিতে শিল্প অবশ্যই হবে । এই লোকসভায় কেউ প্রতিনিধি ছিলেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের । তাই তিনি কিছু করতে পারেননি ৷ এখন সেটা হয়েছে ৷ আগামী দিনে অবশ্যই শিল্প কর্মসংস্থান হবে ।"
প্রথমবার লোকসভার চৌকাঠ পেরোবেন ৷ মনে কোনও ভয় কাজ করছে ? রচনা বলেন, "ভীষণ ভয় করছে ৷ ভয়ে সিঁটিয়ে রয়েছি ৷" বিরোধীদের প্রতি বিদ্রুপের সুরে তিনি বলেন, "যারা বিরোধী ছিলেন তাঁরা এখন বন্ধ এসি ঘরে ঘুমাচ্ছেন । লকেটকে আমি দইয়ের হাঁড়ি পাঠাব ৷"