আরামবাগ, 11 সেপ্টেম্বর: মহিলাকে কুপ্রস্তাব ও শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ উঠল এক গ্রামীণ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ৷ খবর চাউর হতেই উত্তপ্ত স্থানীয় বাসিন্দারা জুতোর মালা পরালেন ওই চিকিৎসককে ৷ তাকে মারধরও করে এলাকাবাসী ৷ আরামবাগ থানার পুলিশ অভিযুক্তকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় ৷ তার নাম উত্তম ঘোষ ৷ ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের ধামসা এলাকায় ৷
অভিযোগ, ওই মহিলা বেশ কয়েকবার ওই গ্রামীণ চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন ৷ তবে অবস্থার পরিবর্তন না হওয়ায় প্রথমে আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ ও পরে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসা করান ৷ পিজি হাসপাতালের চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ওষুধ কিনলেও সেগুলি খাওয়ার সময়সূচি জানতেন না মহিলা ৷ তাই গ্রামের কোয়াক চিকিৎসকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেছিলেন তিনি ৷
মহিলার স্বামী জানান, চিকিৎসক মহিলাকে তার চেম্বারে ডাকেন ৷ মহিলা তাঁর 3 বছরের শিশুকন্যাকে সঙ্গে নিয়ে উত্তম ঘোষের চেম্বারে যান ৷ সেখানে চিকিৎসক মহিলাকে ফের চেকআপ করানোর নামে পাশের একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে ছিটকিনি আটকে দেন ৷ বাইরে বসিয়ে রাখেন ছোট্ট শিশুটিকে ৷
অভিযোগ, কোয়াক ডাক্তার এরপর 20 মিনিট ধরে ওই মহিলার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করতে থাকে ৷ মহিলার অভিযোগ, তাঁকে কুপ্রস্তাব দিচ্ছিলেন ওই চিকিৎসক ৷ পরে জোরপূর্বক দরজা খুলে বাইরে বেরিয়ে আসেন নির্যাতিতা ৷ মহিলাকে হন্তদন্ত হয়ে বেরিয়ে যেতে দেখে সন্দেহ হয় পাশেই থাকা এক মুদিখানার দোকানদারের ৷
প্রথমে ওই চিকিৎসককে জিজ্ঞাসা করলে সে পুরো বিষয়টি উড়িয়ে দেয় ৷ বাড়ি ফিরে স্বামীকে ঘটনাটি জানান নির্যাতিতা ৷ তাঁর স্বামী ওই চিকিৎসকের চেম্বারে গিয়ে অনেকক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করে ৷ তারপর দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চায় কোয়াক ডাক্তার ৷ ইতিমধ্যে ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায় ৷
এলাকাবাসী একজোট হয়ে চেম্বারে উপস্থিত হলে সকলের কাছে ক্ষমা চাইতে থাকে চিকিৎসক ৷ তবে এই ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকাবাসী ৷ চেম্বারের ভিতরেই মারধর শুরু করেন তাঁরা ৷ পরে জুতোর মালা পরিয়ে দেন তাঁরা ৷ পরে আরামবাগ থানার পুলিশ পুরো ঘটনা জানতে পেরে অভিযুক্তকে আটক করেন ও থানায় নিয়ে যান ৷ পরে নির্যাতিত মহিলা ও মহিলার স্বামী আরামবাগ থানায় ওই গ্রামীণ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ৷
এবিষয়ে নির্যাতিত বলেন, "শুধুমাত্র ওষুধগুলি খাওয়ার সঠিক সময় জানতে চেয়েছিলাম ৷ অনেক কুপ্রস্তাব দিয়েছে ওই ডাক্তার ৷ এমনকী শরীরের বিভিন্ন জায়গায় স্পর্শ করার চেষ্টায় করে ৷ নির্যাতিতার স্বামী পেশায় ব্যবসায়ী ৷ তিনি ওই কোয়াক ডাক্তারের উপযুক্ত শাস্তির দাবি করেছেন ৷