বারাসত, 23 অগস্ট: বারাসত মেডিক্যালের নয়া অধ্যক্ষ সুহৃতা পালের পদত্যাগ চাই ৷ শুক্রবার এমনই স্লোগান শোনা গেল পড়ুয়াদের মুখে। রীতিমতো প্ল্যাকার্ড হাতে মেডিক্যাল কলেজের গেটের সামনে এদিন বিকেলে বিক্ষোভ দেখালেন একদল পড়ুয়া। আওয়াজ তুললেন, "বারাসত মেডিক্যাল কলেজকে আরজি কর হতে দেব না। সুহৃতা পাল গো-ব্যাক। বারাসত ছেড়ে চলে যাক।"
বারাসত মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে বুধবারই চিকিৎসক সুহৃতা পালের নাম ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য ভবন। এক নির্দেশিকায় তেমনটাই জানানো হয়েছে। বদলির নির্দেশের 24 ঘণ্টা পরও বৃহস্পতিবার সেই দায়িত্ব বুঝে নিতে দেখা যায়নি এই মেডিক্যাল কলেজের নয়া অধ্যক্ষকে। তবে, শুক্রবার একেবারে সকালের দিকে বারাসত মেডিক্যাল কলেজে এসে নিজের দায়িত্ব বুঝে নেন চিকিৎসক সুহৃতা পাল। কিন্তু, বিকেল গড়াতেই তাঁর অপসারণ চেয়ে একদল পড়ুয়া প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে জড়ো হয়ে যান হাসপাতালের গেটের সামনে।
এরপরই শুরু হয় বিক্ষোভ। চলে গো-ব্যাক স্লোগানও। যদিও এনিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে কোনও প্রতিক্রিয়াই দিতে চাননি চিকিৎসক সুহৃতা পাল ৷ প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন চলাকালীন মধ্যরাতে বহিরাগত দুষ্কৃতীরা ঢুকে তাণ্ডব চালায় সেখানে। হামলায় রীতিমতো তছনছ হয়ে যায় আরজি কর হাসপাতালের বেশ কয়েকটি ঘর। এই ঘটনায় আক্রান্ত হতে হয় পুলিশকেও। সেই সময় আরজি করের অধ্যক্ষ হিসেবে সবে দায়িত্ব নিয়েছেন সুহৃতা পাল।
সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের পরও সেদিন একবারের জন্যও হাসপাতালে দেখা যায়নি তাঁকে। কোনও খোঁজখবর নেননি বলেও অভিযোগ। যার জেরে সুহৃতা পালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। দায়িত্ব নেওয়ার পর তাঁর অপসারণের দাবিতেও আরজি করে শুরু হয় ডাক্তারি পড়ুয়াদের আন্দোলন। ফলে, তাঁকে ঘিরে বিতর্ক চলছিলই। সেই আবহেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ থেকে। তবে, সেখান থেকে তাঁকে অপসারণ করা হলেও বারাসত মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে নতুন দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় তাঁর কাঁধে। এদিকে, বদলি নির্দেশের একদিন পর দায়িত্ব তুলে নিলেও শুক্রবার সুহৃতা পালের অপসারণের দাবিতে সোচ্চার হলেন পড়ুয়াদের একাংশ, যা ঘিরে দিনভর বারাসত শহরজুড়ে চলল জোর চর্চা।