বোলপুর, 17 ডিসেম্বর: পৌষমেলার মুখে বিশ্বভারতীর সমবায় ব্যাঙ্কের প্রাপ্য লভ্যাংশের দাবিতে বিক্ষোভ লগ্নিকারীদের। বন্ধ করে দেওয়া হল ব্যাঙ্কের কাজকর্ম। অভিযোগ, 7 বার বিজ্ঞপ্তি জারি করেও 4 বছর ধরে হচ্ছে না গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সময় প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতীর সমবায় ব্যাঙ্কের নির্বাচন। ফলে লগ্নিকারীরা তাঁদের প্রাপ্য লভ্যাংশ থেকে বঞ্চিত। অথচ, ঋণের সুদ যথারীতি দিতে হচ্ছে গ্রাহক ও লগ্নিকারীদের।
1927 সালে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সময় বিশ্বভারতীতে স্থাপিত হয় সমবায় ব্যাঙ্ক ৷ এই ব্যাঙ্কের বেশিরভাগ গ্রাহক ও লগ্নিকারী বিশ্বভারতীর কর্মী, আধিকারিক থেকে শুরু করে অধ্যাপক-অধ্যাপিকা। মূলত, তাঁদেরই অ্যাকাউন্ট রয়েছে ব্যাঙ্কে । লগ্নিও তাঁদেরই।
অভিযোগ, দীর্ঘ 4 বছর ধরে এই সমবায় ব্যাঙ্কে নির্বাচন হচ্ছে না। ফলে একাধিক সমস্যা হচ্ছে ৷ নির্বাচনের জন্য 7 বার বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। কিন্তু, হয়নি নির্বাচন। গ্রাহক পরিষেবায় বিঘ্ন তো ঘটছেই ৷
পাশাপাশি, লগ্নিকারীরা তাঁদের প্রাপ্য লভ্যাংশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, এমনই অভিযোগ। অথচ, যাঁরা ঋণ নিয়েছেন, তাঁদের অর্থ পরিশোধ করতে হচ্ছে। এই সমবায় ব্যাঙ্কে নির্বাচনের দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরে বিক্ষোভ করে চলেছেন গ্রাহক ও লগ্নিকারীরা ৷ এমনকী, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও চিঠি দিয়েছেন তাঁরা।
এদিন, প্রাপ্য লভ্যাংশের দাবি-সহ দ্রুত নির্বাচন করা এবং সঠিক পরিষেবা প্রদান করতে হবে ইত্যাদি দাবিকে সামনে রেখে শুরু হয় বিক্ষোভ। 23 ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা। 28 ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এই মেলা। তার আগে বিশ্বভারতীর সমবায় ব্যাঙ্কে ব্যপক বিক্ষোভ। বিক্ষোভের জেরে বন্ধ হয়ে যায় ব্যাঙ্কের কাজকর্ম।
বিশ্বভারতীর সমবায় ব্যাঙ্কে লগ্নিকারীদের মধ্যে সুব্রত মণ্ডল বলেন, "7 বার বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েও নির্বাচন হয়নি ৷ আগামী শুক্রবারের মধ্যে আমাদের লভ্যাংশ না-পেলে শুক্রবার থেকে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামব ৷ দীর্ঘদিন ধরে আমরা একই দাবিতে আন্দোলন করছি ৷ আজও প্রাপ্য লভ্যাংশ পাইনি অথচ ঋণ পরিশোধ করতে হচ্ছে ৷ এটা কোনও নিয়ম হল!"