ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ যা আজকাল বেশ সাধারণ হয়ে উঠেছে । ডায়াবেটিশ হলে শরীরে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায় । ডায়াবেটিস সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করা সম্ভব নয়, তবে সঠিক খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম এবং ওষুধের মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব । ডায়েটিশিয়ান জয়শ্রী বণিক বলেন, "ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খাদ্যাভ্যাসের প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ । এমন খাবার খাওয়া উচিত যা রক্তে শর্করার পরিমাণ দ্রুত বৃদ্ধি করে না । জেনে নিন, এমন কিছু ফল যা ডায়াবেটিশ রোগীদোর জন্য উপকারী ৷"
এই সবুজ ফলগুলি ডায়াবেটিসের জন্য় উপকারী
পেয়ারা: পেয়ারায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পাওয়া যায় । ফাইবার রক্তে শর্করাকে ধীরে ধীরে শোষিত হতে সাহায্য করে ৷ যা চিনির মাত্রার হঠাৎ ওঠানামা রোধ করে । এছাড়াও, পেয়ারাতে উপস্থিত ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সাহায্য করে ।
মুসাম্বি: মুসাম্বিতে ভিটামিন সি-এর পাশাপাশি ফোলেট এবং পটাশিয়ামও পাওয়া যায় । ফোলেট শরীরে নতুন কোষ তৈরিতে সাহায্য করে ৷ অন্যদিকে পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে । মিষ্টি লেবুর গ্লাইসেমিক সূচক কম, যার সহজ অর্থ হল এটি চিনির মাত্রা দ্রুত বাড়ায় না ।
নাশপাতি: নাশপাতিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং ভিটামিন কে পাওয়া যায় । ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে ৷ অন্যদিকে ভিটামিন কে হাড়কে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে । শুধু তাই নয়, নাশপাতিতে উপস্থিত পেকটিন একটি দ্রবণীয় ফাইবার যা শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও সাহায্য করে ।
কিউই: কিউইতে ফাইবার এবং পটাসিয়ামের সঙ্গে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই এবং ভিটামিন কে পাওয়া যায় । কিউইতে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্টগুলি মুক্ত র্যাডিকেলের কারণে কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে । কিউইর গ্লাইসেমিক সূচক কম, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি একটি ভালো বিকল্প করে তোলে ।
গ্রিন আপেল: গ্রিন আপেলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পাওয়া যায় । ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে ৷ অন্যদিকে ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সাহায্য করে । গ্রিন আপেলে উপস্থিত পেকটিন শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও সাহায্য করে ।
তরমুজ: তরমুজ ভিটামিন B6 সমৃদ্ধ ৷ যা সেরোটোনিন নিঃসরণের জন্য অপরিহার্য । সেরোটোনিন একটি নিউরোট্রান্সমিটার যা মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করে । ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভীষণভাবে উপকারী ৷
তবে ডায়াটিশিয়ান জানান, সারাদিনে একটা ফল খেতে পারবেন ৷ এছাড়াও বদলে বদলে খাওয়া ভালো ৷
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে ৷)