বাঁকুড়া, 30 অগস্ট: সাঁওতালি ভাষার পত্র-পত্রিকার অস্থায়ী স্টল ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে গর্জে উঠল আদিবাসী সমাজ। বৃহস্পতিবার একদল দুষ্কৃতী আচমকাই ওই স্টলে হামলা চালিয়ে স্টলটি ভেঙে গুড়িয়ে দেয়। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই ময়দানে নামে আদিবাসীদের সামাজিক সংগঠন ভারত জাকাত মাঝি পরগনা মহল।
অবিলম্বে দুষ্কৃতীকে গ্রেফতারের দাবিতে রানিবাঁধে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন আদিবাসীরা। দীর্ঘক্ষণ অবরোধ চলার পর পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা অবরোধস্থলে যান ৷ তাঁরা আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয় আদিবাসীরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার রানিবাঁধের কাছেই রয়েছে ক্ষুদিরাম স্ট্যাচু মোড় ৷ সেখানে খাতড়া ঝিলিমিলি রাজ্য সড়কের ধারে আদিবাসীদের ধর্মস্থান হিসাবে চিহ্নিত জায়গাটির পাশে সাঁওতালি ভাষার পত্র-পত্রিকার একটি অস্থায়ী স্টল দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে আসছিলেন রতন চন্দ্র হাঁসদা।
গতকাল আচমকাই একদল দুষ্কৃতী ওই স্টলে হামলা চালিয়ে স্টলটি গুড়িয়ে দেয়। অভিযোগ স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতাদের একাংশের মদতেই ওই স্টল ভেঙে ফেলে দুষ্কৃতীরা। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই গর্জে ওঠে আদিবাসীদের সামাজিক সংগঠন ভারত জাকাত মাঝি পরগনা মহল। গতকাল বিকেলে জঙ্গলমহলের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আদিবাসীরা রানিবাঁধে জমায়েত করে ওই দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের দাবিতে সরব হয়। শুরু হয় রাস্তা অবরোধ। দীর্ঘক্ষণ রাস্তা অবরোধ চলার পর অবশেষে রানিবাঁধ থানার পুলিশ ও শাসকদলের স্থানীয় জন প্রতিনিধিরা অবরোধস্থলে পৌঁছে আশ্বাস দিলে তাঁরা সেখান থেকে সরে যান ৷
উল্লেখ্য, আরজি কর মেডিক্যালের ডাক্তার ছাত্রী ও বর্ধমানের আদিবাসী ছাত্রীকে খুনের ঘটনায় দোষীদের শাস্তি চেয়ে এর আগেও পথে নেমেছিল ভারত জাকাত মাঝি পরগনা। সেদিন পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার মেচগ্ৰামের কাছে 16 নম্বর জাতীয় সড়ক ও ঘাটাল-পাঁশকুড়া রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছিল সংগঠনের তরফে।