কলকাতা, 29 অক্টোবর: শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগের জবাব দিতে এবার আসরে তৃণমূলপন্থী জুনিয়র চিকিৎসকদের সংগঠন ৷ সদ্য তৈরি হওয়া সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের মাথায় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল ৷ মঙ্গলবার সেই অভিযোগ খারিজ করে দিল তৃণমূলপন্থী জুনিয়র চিকিৎসকদের সংগঠন প্রোগ্রেসিভ জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন । তাদের অভিযোগ, জুনিয়র চিকিৎসকদের নয়া সংগঠনের সদস্যরা থ্রেট কালচারের সঙ্গে যুক্ত ৷
মঙ্গলবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূলপন্থী জুনিয়র চিকিৎসকদের সংগঠনের তরফে বলা হয়, "কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য WBJDA-এর সদস্যদের সমর্থন করছেন । তাহলে তো আমরা সেই এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকলাম !"
সম্প্রতি কলকাতা প্রেস ক্লাবে রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে থ্রেট কালচারে অভিযুক্তরা একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন । নিজেদের নয়া সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যা হিসেবে দাবি করে তাঁরা ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের সম্পূর্ণ বিরোধিতা করেন । তবে এরপর থেকে এই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের বিভিন্ন ছবি প্রকাশ পেয়েছে । সেই ছবিতে তাঁদের সঙ্গে দেখা গিয়েছে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের ৷ সদ্য গঠিত এই অ্যাসোসিয়েশনকে অনেকেই তৃণমূলপন্থী বলে দাগিয়েছিলেন । একই সুর শোনা গিয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গলাতেও ৷
তবে এদিন নয়া এই সংগঠনের সম্পূর্ণ বিরোধিতা করল প্রোগ্রেসিভ জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন । সেই সংগঠনের সভাপতি চিকিৎসক রাজীব বিশ্বাস বলেন, "2013 সালে আমাদের সংগঠন বৈধতা পেয়েছে । হ্যাঁ, আমরা তৃণমূলপন্থী জুনিয়র চিকিৎসকদের সংগঠন ।"
তাঁদের আর এক সদস্য চিকিৎসক ঋতুপর্ণা কোয়াল বলেন, "ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের যাঁদেরকে আমরা দেখতে পেয়েছি, তাঁরা সবাই সিবিআই স্ক্যানারে থাকা বীরূপাক্ষ বিশ্বাস, অভীক দে-র প্রতিবিম্ব । এতদিন ধরে আন্দোলন করছে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট ৷ যদি সত্যিই থ্রেট কালচারের অভিযুক্তরা শাস্তি না পায় তাহলে তো আমরা একই জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকলাম । আমরা এই দুর্নীতি থেকে বেরোতে চাই ।"
চিকিৎসক ঋতুপর্ণা এদিন সরব হন উত্তরবঙ্গ লবি প্রসঙ্গেও । তিনি বলেন, "নর্থ বেঙ্গল লবি তৈরি হওয়ার আগে এঁরা সবাই ছিলেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তনী । সেই সিনিয়র চিকিৎসকরা একটা সময়ে অন্য একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন । পরে তাঁরা বদলেছেন । এমনকি সিনিয়র হয়ে যাওয়ার পর তাঁরা অত্যন্ত প্রভাবশালী হয়ে যান । সেখান থেকে অনেকে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে তৈরি করেন উত্তরবঙ্গ লবি । আমরা তৃণমূলকে সমর্থন করি । তার মানে এটা নয় যে, আমরা সবাই দুর্নীতিগ্রস্ত ।"